সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় লোডশেডিংয়ের সমস্যায় জেরবার হয়েছে রাজ্যবাসী। তার প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় চলেছে বিক্ষোভ অবরোধ। এমনকী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তবে নিম্নচাপের পরে লোডশেডিং কিছুটা কমেছে। এবার লোডশেডিং নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীর মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। একদিকে, বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিংহ, অন্যদিকে পালটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: ৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই মালদহের একটি ব্লকে, বালতি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী?
রবিবার বিশ্বকর্মা প্রকল্পের প্রচার অনুষ্ঠানে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী। সেখানে যোগ দিয়ে তিনি জানান, পশ্চিমবাংলায় যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেই হিসেবে কোনওভাবেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ার কথা নয়। তিনি জানান, প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থার তরফে ২৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় থাকে। যা এ রাজ্যে চাহিদা মেটাতে সক্ষম। তিনি জানান, দেশের দু তিনটি রাজ্যে এরকম লোডশেডিং হচ্ছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একটি। এই রাজ্যে সেটা কেন হচ্ছে তা রাজ্য সরকার ভালো বলতে পারবে। এ বিষয়ে পালটা অরূপ বিশ্বাসের বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অন্যান্য রাজ্যের দিকে নজর দেওয়া।
উল্লেখ্য, কৃষকদের সুবিধার কথা মাথায় গত বছর একটি প্রকল্পের সূচনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পের নাম হল পিএম কুসুম। যার মূল উদ্দেশ্যই হল কৃষকদের নানা সুবিধে প্রদান। এই প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সেচের জন্য সৌর চালিত পাম্প সরবরাহ করছে। সৌর পাম্পের ব্যবহারের ফলে দেশে কৃষির উন্নতির সঙ্গে সমৃদ্ধ হবে কৃষকের অর্থনৈতিক অবস্থাও। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরাজ্যে এই প্রকল্প কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্য, কেন্দ্রের অধিকাংশ প্রকল্প হল জনবিরোধী। তাই রাজ্য সরকার সেগুলি বাস্তবায়িত করবে না।
অন্যদিকে, হাইড্রোজেন নীতি বিভিন্ন রাজ্যে কার্যকর করা হলেও এখানে কতটা কার্যকর করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উল্লেখ্য, বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে কেন্দ্র গ্রিন হাইড্রোজেন নীতি তৈরি করেছে।