দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা দিতেই তিনি আনন্দে টুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘এই উৎসব একটা আবেগ, যা সবাইকে এক করেছে।’ আর এবার বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেছেন। আর ফুলবাগান এলাকা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা যা বলি, ৩–৪ মাসের মধ্যে করে দিই। বাকিদের সঙ্গে আমাদের এখানেই পার্থক্য। আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্য রাজ্যে শিল্পায়ন আর কর্মসংস্থান তৈরি করা। দেখিয়ে দেব ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করে।’ অর্থাৎ বিরোধীদের সমালোচনাকে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী এপ্রিল মাসে কলকাতায় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হওয়ার কথা। সেখানে আসার জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন। এমনকী তিনি মুম্বই সফরে গিয়ে শিল্পপতিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে রাজ্যে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যাট্রিক করেছেন। এখন তাঁর পাখির চোখ শিল্পায়ন। তাই তিনি রাজ্যে রাজ্যে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে নবান্নে এসে সাক্ষাৎ করে গিয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। সুতরাং শিল্পের একটা পরিবেশ ও বার্তা তৈরি হয়েছে বাংলায়। এবার সেটাকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শিল্প করে দেখাবেন বলেছেন।
এদিন প্রচারে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে স্টুডেন্ট কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড–সহ একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী গোয়ায় ক্ষমতায় এলে গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পে ৫ হাজার টাকা মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃমমূল কংগ্রেস। আর কলকাতায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘যা যা কথা দিয়েছিলাম, সব করে দিয়েছি। এবার শিল্প–কর্মসংস্থান বাড়ানোই লক্ষ্য। তোমরা যতই বাধা দাও না কেন, আটকাতে পারবে না। ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করে দেখিয়ে দেব।’