আজ, ১৪ অগস্ট, কন্যাশ্রী দিবস। এই দিনে টুইট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘কন্যাশ্রী দিবসে বাংলার সকল মেয়েদের সাফল্য আমি উদযাপন করছি। আমি তাঁদের কৃতিত্ব, উৎসাহ এবং নিষ্ঠার জন্য গর্বিত। কন্যাশ্রী প্রকল্প লক্ষ লক্ষ কিশোরীর স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে। মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আমাদের সর্বদা কাজ করে যাওয়া উচিত।’ একুশের নির্বাচনে মহিলাদের ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখানে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী–সহ নানা মহিলাদের জন্য আনা প্রকল্প জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এই কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে সম্মানিত ও স্বীকৃতি পেয়েছে। কন্যা সন্তানের উন্নতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প এখন দুনিয়াজুড়ে প্রসিদ্ধ। আর তাতে গর্বিত রাজ্য৷ এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সকল কন্যাশ্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের বিরোধিতা করতে গিয়ে বানান ভুল করে ল্যাজেগোবরে হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপরই এই দিনটি ঘটা করে উদযাপন ও টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল ফেসবুকে কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘কোন চিন্তা ছাড়াই বাংলার লক্ষ লক্ষ মেয়েকে তাদের স্বপ্নকে ছুঁতে সহায়তা করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প! আমরা আমাদের সকল মেয়েদের তাঁদের সাফল্যের জন্য কন্যাশ্রী দিবসে অভিনন্দন জানাই। এই অনন্য উদ্যোগের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন এবং এই প্রকল্পের ফলে বহু তরুণীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে।’
উল্লেখ্য, মেয়েদের নিজেদের পায়ে দাঁড় করাতেই শুরু হয় এই প্রকল্প। টাকার অভাবে গরীব ঘরের মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার যে সমস্যা, তাতে লাগাম টানতে এই প্রকল্পের সূচনা হয় ২০১৩ সালে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ছাত্রীরা প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক ১০০০ টাকা এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা বৃত্তি পায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া টাকা উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাতে পারে ছাত্রীরা। লক্ষ লক্ষ মেয়েরা উপকৃত হয়েছে সরকারি এই প্রকল্পের ফলে। রাজ্যে পড়ুয়াদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবণতা কমেছে। ৬৩টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পকে পিছনে ফেলে ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দফতর আয়োজিত ‘গার্ল সামিট’–এ সেরার শিরোপা পেয়েছে কন্যাশ্রী৷