কলকাতা শহরে যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। সেই সমস্যা এড়াতে আরও একটি উড়ালপুল তৈরি হবে কলকাতায়। চিংড়িঘাটা থেকে মহিষবাথান পর্যন্ত এই উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে রাজ্য সরকারের। অবশেষে জানা যাচ্ছে, আগামী বছরের প্রথম দিকে এই উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার। ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা এই উড়ালপুলটি তৈরির কাজ আগামী চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৭০০ কোটি টাকায় চিংড়িঘাটা থেকে মহিষবাথান পর্যন্ত হচ্ছে ৪ লেনের উড়ালপুল
জানা গিয়েছে, এই উড়ালপুলের ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট বা ডিপিআর আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী। প্রথমে এই ডিপিআর তৈরি করেছিল কেএমডি। কিন্তু রাজ্যের নির্দেশের পর মাস খানেক আগেই ডিপিআর পূর্ত দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পূর্ত দফতর খতিয়ে দেখবে যে ডিপিআরে কোনও পরিবর্তন করা হবে কিনা? তার ভিত্তিতে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পাশাপাশি উড়ালপুলের নকশা খতিয়ে দেখে অর্থ দফতরের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। আর একবার অনুমোদন মিললেই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই সমস্ত কাজের জন্য সব মিলিয়ে ৪-৫ মাস সময় লেগে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর একবার অনুমোদন মিললেই শুরু হয়ে যাবে কাজ।
এই উড়ালপুল তৈরি হলে অতি সহজেই যানজট এড়িয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছানো যাবে। সেক্ষেত্রে এই পথে চিংড়িঘাটা ক্রসিং, সেক্টর ফাইভে যানজট এড়িয়ে এই উড়ালপুল হয়ে সোজা ভিআইপি রোড ধরে বিমানবন্দরে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তাছাড়া চিংড়িঘাটা সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমবে। এর ফলে দ্রুত গন্তব্য স্থলে পৌঁছানো সম্ভব হবে। ৪ লেনের এই উড়ালপুরে থাকবে ২টি ব়্যাম্প। কলেজ মোড়ের ব়্যাম্পটি দিয়ে শুধুমাত্র উড়ালপুল থেকে নামা যাবে। আর গদরেজ ওয়াটারসাইডের দিকের ব়্যাম্প দিয়ে শুধু ওঠা যাবে।
প্রথম দিকে যখন এই উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল তখন ৭২৭ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু, সেটা অনেকদিন আগের কথা। এই সময়ের মধ্যে খরচ অনেক বেড়েছে। জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। ফলে সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে আরও বেশি টাকা লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে অর্থ দফতরের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।