অনটনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন বাঁশদ্রোণীতে আত্মঘাতী যুগল। হৃষিকেশ পাল ও রিয়া সরকারের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গিয়েছে। বুধবার বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের ভাড়ার ফ্ল্যাটে তাঁদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন হৃশিকেশ।
নিহত রিয়ার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৮.৩৬ মিনিটে তাঁর ফোনে একটি টেক্সট মেসেজ আসে। তাতে রিয়া লিখেছিল, ‘আমরা দুজনে সুইসাইড করলাম। আমাদের সুইসাইডের জন্য কেউ দায়ী নয়। পারলে এসো মাটি দিতে।’
রিয়ার ওই বান্ধবী জানিয়েছেন, বিয়ে করেছিলেন হৃষিকেশ ও রিয়া। ফেসবুকে পরিচয় হয় তাদের। বিয়ের পর কিছুদিন নিজের বাড়িতে রিয়াকে নিয়ে ছিলেন হৃষিকেশ। এর মধ্যে হৃষিকেশের বাবা মায়ের মৃত্যু হয়। এর আগে হৃষিকেশের দিদির ক্যান্সার আক্রান্ত হন। তাঁর চিকিৎসার জন্য ঋণের ১২ লক্ষ টাকা শোধ করেন হৃষিকেশ। এরই মধ্যে নিজেরও ক্যান্সার ধরা পড়ে।
সম্প্রতি চিকিৎসা করাতে দিল্লি গিয়েছিলেন দম্পতি। রিয়ার বান্ধবী জানিয়েছেন, ফেরার পর থেকেই আত্মহত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন তাঁরা। বারবার সেকথা বান্ধবীকে বলেওছিলেন রিয়া। বান্ধবীর দাবি, রিয়াকে বারবার বুঝিয়েছিলাম। ওদের ঘাড়ে ২৫ লক্ষ টাকা দেনা ছিল। দেনা শোধ করে সংসার চালাতে পারছিল না। তাই ওদের ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটরশিপটা বিক্রি করে দেয়। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। শেষে বন্ধুদের দেওয়া টাকায় ওদের সংসার চলত।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ভবানীভবনে চাকরি করতেন হৃষিকেশ। কোনও কারণে হাতে চোট পাওয়ায় চাকরি চলে যায় তাঁর।