মঙ্গলবার পদ ছেড়ে দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের কাছে নিজেই জানিয়েছেন এই কথা। শুধু তাই বিচারপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে যোগ দেবেন। কোন দল তা খোলসা করেননি। পরে জানাবেন বলেন। এই মধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে ভোটে দাঁড়াবেন।
এই জল্পনা কতটা সত্যি? তাঁর 'গুরু' বিকাশ ভট্টাচার্য জবাব দিলেন এই প্রশ্নের,'আমি মনে করি না উনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। নির্বাচনে দাঁড়াবেন বলে মনে করি না। এটা আমার ব্যক্তিগত ধারনা। যে সমস্ত জল্পনা-কল্পনা চলছে তার মধ্যে আমি নেই।'
আরও পড়ুন। '২০২৬-তে মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই লক্ষ্য জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের', আয়নায়…, দাবি বাবুলের
বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তাঁর জবাব,'উনি তো নিজ মুখে বলেননি যে উনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। ওনি তো বাচ্ছা নন, যা করবেন ভেবে চিন্তে করবেন। আমি কেন কথা বলব। উনি যদি আমার সঙ্গে কথা বলতে চান তো বলবেন। উনি প্রবীণ মানুষ। বুদ্ধিমান মানুষ।' বইমেলায় বামপন্থী বইয়ের স্টলে দেখা গিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। উল্টেপাল্টে দেখেছেন বামপন্থী সাহিত্য ও মার্ক্সের বিভিন্ন লেখার অনুবাদ। সেই তাঁকে দেখা যাবে গেরুয়া শিবিরে মানতে পারছেন না বামপন্থীদের অনেকে।
আরও পড়ুন। ‘চৌর্য সাম্রাজ্য,’ভোটের লড়াইয়ে নামার আগেই ‘শত্রু’ চিহ্নিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
যা বললেন অধীর চৌধুরী
বিচারপতি যদি রাজনীতিতে আসেন তবে তাঁকে সমর্থনের কথা দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যদি বিজেপিতে যোগ দেন তবে কী তিনি সমর্থন করবেন? উত্তরে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্ব কখনও সঙ্কীর্ণ মানসিকতার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন বলে আমি মনে করি না। তিনি লড়াকু। তিনি প্রতিবাদী চরিত্র। তবে যদি তিনি বিজেপিতে যোগও দেন তবে, আখেরে তৃণমূলেরই লাভ হবে।' এর ব্যাখ্যা দিয়ে অধীর বলেন, 'সে ক্ষেত্রে শাসকদল প্রচার করবে যে, তাঁর দেওয়া রায়গুলি পক্ষপাতদুষ্ট ছিল।'
আরও পড়ুন। ‘আমার অন্তর বলছে সময় শেষ হয়েছে’, পদত্যাগের কারণ জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
যা বললেন কুণাল
তৃণমূল কুণাল ঘোষ অবশ্য রাজনীতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, 'রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে। কিন্তু অন্য গুরুত্বপূর্ণ পেশা থেকে যদি কেউ রাজনীতিতে আসেন, তা হলে সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিতে তা স্বাস্থ্যকর বা ইতিবাচক। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছি। নতুন ইনিংসের শুভেচ্ছা। তবে বিশেষ করে এই পেশার কেউ রাজনীতিতে এলে, তাঁর আগের পেশাগত সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে নিরপেক্ষতাজনিত প্রশ্ন উঠতেই পারে, সেটাও স্বাভাবিক।'