দুর্নীতির আঁচ পর্যন্ত লাগতে দেওয়া যাবে না। এই নীতি নিয়েই ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে নয়া পদক্ষেপ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর তাই ২০২৩ সাল থেকেই রাজ্যের সব ডিএলএড কলেজে বন্ধ করা হল অফলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া। আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই কথা জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দুর্নীতির অভিযোগের মধ্য়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এমন পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন শিক্ষক– শিক্ষিকাদের একাংশ। ইতিমধ্যেই ৪৪টি সরকারি এবং প্রায় ৬০০–র বেশি বেসরকারি ডিএলএড কলেজে কোনও অফলাইন অ্যাডমিশন হবে না এবং মেধাতালিকাও প্রকাশিত হবে অনলাইনে বলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এদিকে আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সাল থেকেই রাজ্যের সব ডিএলএড প্রশিক্ষণ কলেজে বন্ধ করে দেওয়া হবে অফলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া। এই বছর থেকে কোনও কলেজে অফলাইন অ্যাডমিশন হবে না। গোটা ভর্তি প্রক্রিয়া হবে অনলাইন মাধ্যমে। কলকাতা হাইকোর্টে এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ভর্তির মেধাতালিকাও অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষকতা করতে অন্যতম যোগ্যতা হিসেবে ডিএলএড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলেও প্রথমে দু’বছরের ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হয়।
অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী আজ কলকাতা হাইকোর্টে জানান, মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একটি বৈঠক আছে। যে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এই বছর থেকে রাজ্যের কোনও ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ভর্তি নেওয়া হবে না। গোটা প্রক্রিয়াটাই হবে অনলাইনে। ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ হবে অনলাইনে। এবার ডিএলএড কলেজে ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার জেরে কলেজগুলির হাতে বিপুল টাকা নিয়ে ভর্তি করা অনেকটা বন্ধ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাঁচটি নতুন বই পড়ুয়াদের দিতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, নয়া পাঠ্যবই কেন আনা হচ্ছে?
পাশাপাশি ভর্তির অনিয়ম বন্ধ করা যাবে। এখন ডিএলএড পরীক্ষার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই কলেজগুলি শুধু পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করবে। ইতিমধ্যেই ডিএলএডের দ্বিতীয় পর্বের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আর এবারের মোট শূন্য আসন ৪৫ হাজার। আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৫০ হাজারের বেশি। সমস্ত শূন্য পদ পূরণ না হলে আবার আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।