শিয়ালদা-বনগাঁ লোকালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণ চেয়ে পোস্টারকে কেন্দ্র করে শনিবার শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। পোস্টারে শুধু তাঁর অবসারণই দাবি করা হয়নি, তাঁকে গরু পাচারকারী এবং চিটিংবাজ বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। যাকে ঘিরে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। গেরুয়া শিবির প্রথম থেকে এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করে আসছিল। এবার এ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য পক্ষান্তরে বিক্ষুব্ধদের জড়িত থাকার বিষয়টিই উস্কে দিল।
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'যে কোনও দলের মধ্যে ক্ষোভ থাকতেই পারে, সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে তা দলের মধ্যেই মিটিয়ে ভালো। কিন্তু, একজন নেতা আর একজনকে প্রকাশ্যে মাতাল বা ছিটিয়াল বলবে তা একেবারেই উচিত নয়।' অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার পরার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, 'এটা তৃণমূলেরই কাজ। বিজেপির কোনও নেতা এরকম কাজ করতে পারে না।' তবে দুই নেতার পরস্পর বিরোধী এই মতামত বিজেপিকে আরও অস্বস্তিতে ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে, অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দলের অন্দরের ক্ষোভ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। গেরুয়া শিবিরের অনেকেই সরব হয়েছেন এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। যে তালিকায় রয়েছেন বিজেপি সংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া কয়েকজন নেতার সঙ্গে শনিবারই পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বৈঠক করেছেন শান্তনু ঠাকুর। বৈঠকের পরে তিনি অমিতাভ চক্রবর্তীকে নাম না করে আক্রমণ করেছেন। আর তারই মধ্যে পোস্টার বিতর্কে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে বিজেপি। অন্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানোর অভিযোগ উঠলেও তৃণমূল প্রথম থেকেই পাল্টা দাবি করে আসছিল যে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারাই পোস্টার বিতর্কে জড়িত।