জাগো বাংলার উৎসব সংখ্য়া। সেখানে কলম ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একেবারে শানিত আক্রমণ। নিশানায় বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, সংকীর্ণ রাজনীতি ছেড়ে দিন। আমাকে অপমান করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না।
কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা উঠে এসেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কলমে। সেখানে মূলত জানানো হয়েছে কীভাবে ১০০ দিনের কাজে, আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা হয়েছে। সেই সঙ্গেই নবজোয়ার যাত্রার কথা উল্লেখ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিকে নারদাকাণ্ডে কীভাবে বিজেপি নেতাদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল সেকথা নিয়ে বার বারই সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার জাগো বাংলার উৎসব সংখ্য়াতেও এনিয়ে লিখলেন অভিষেক।
সেই সঙ্গেই শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও কার্যত নাম না করে নিশানা করেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছেন, যারা একসময় বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে আক্রমণ করে বলেছিল বাংলার দুর্গাপুজো হয় না, তারাই আজকে বাংলার দুর্গাপুজো উদ্বোধন করতে আসছে। এটাই বাংলার দুর্গাপুজোর জয়।
প্রসঙ্গত এবার ১৬ অক্টোবর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। রাম মন্দিরের আদলে সেখানে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। সেই মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ।
এর আগে বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ তুলতেন বিজেপি নেতৃত্ব। এর আগে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো হবে না তো কি পাকিস্তানে হবে? বাংলায় বাংলা ভাষায় পড়তে হলে, দুর্গাপুজো করতে গেলে বিজেপি করতে হবে। আর কার্যত অমিত শাহের সেই বক্তব্যেরই যেন জবাব দিলেন অভিষেক।
সেই সঙ্গেই দলের মুখপাত্রের উৎসব সংখ্য়াতেও বিজেপিকে নিশানা করে জোরালো আক্রমণ করেছেন অভিষেক। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে সুর চড়াতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কখনও ১০০ দিনের বকেয়া আদায়ের জন্য দিল্লিতে ধরনা। কখনও আবার কলকাতায় রাজভবনের সামনে অবস্থান। আবার দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্য়াতেও বিজেপিকে নিশানা করলেন অভিষেক।