ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র মাস তিনেকের ব্যবধান। সামনেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। তার আগে আমজনতার সুরক্ষার ঢাল তৈরি করল ফোরাম। করোনা বিধি মেনে এবছরও পুজো হবে। তার জন্য আগেভাগে ১৪ দফার গাইডলাইনস প্রকাশ করল ফোরম অফ দুর্গোৎসব। এবারের টিকাকরণের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে এই সম্ভাব্য নিয়ম প্রস্তাব হিসেবে পাঠাবে পুজো কমিটিগুলো। সেখান থেকে মনোনিত হলেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দেবে ফোরাম।
গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। পুজো হবে কি না এই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তবে সরকারের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইনেই পুজো শেষ হয়। এবছর বাড়তি সুরক্ষা হিসাবে ভ্যাকসিনের বর্ম রয়েছে। তাই ভ্যাকসিনেশনকেই পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে পুজো কমিটিগুলো। তিলোত্তমার ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৪৫০ টি পুজোকমিটি নিয়ে এক ছাতার তলায় গঠিত হয়েছে ফোরম অফ দুর্গোৎসব। এবারে ফোরাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইনল মেনে চলতে হবে অন্তর্ভুক্ত পুজো কমিটিগুলোকে।
প্রথমেই পুজোর সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের থেকে শুরু করে পুরোহিত হোক কিম্বা ঢাকি প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে টিকা নিতে হবে। মানতে হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ছাড়াও দূরত্ববিধির নিয়ম।পুজোর চাকচিক্য কমিয়ে জনহিতকর কোনও কাজের উদ্যোগ নিতে হবে। গতবারের মতোই চারিদিক খোলামেলা মণ্ডপ করে বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। পুজোর নৈবেদ্য থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত কোভিড বিধি মানতে হবে পুজো উদ্যোগতাদের। কাটা ফল দেওয়া যাবে না, গোটা ফলেই নৈবদ্য সাজাতে হবে। সন্ধিপুজো থেকে সিঁদুর খেলা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।একইসঙ্গে প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদেরও তৎপর হতে হবে। মণ্ডপে যাতে কোনওভাবেই ভিড় না হয়, তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে।