সামনেই লোকসভা ভোট। কিন্তু তৃণমূলের অন্দরের ঝামেলা যেন কিছুতেই থামছে না। এবার একেবারে দুই কাউন্সিলরের অনুগামীদের মধ্য়ে রীতিমতো চুলোচুলির ঘটনা। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে রীতিমতো ঝামেলা বেঁধে যায় দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে।
আসলে ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভা। তার আগে প্রস্তুতি সভা ছিল গীতাঞ্জলিতে। আর সেখানেই তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ বনাম লিপিকা মান্নার অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে। পুলিশ গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গন্ডগোল কিছুতেই থামানো যাচ্ছিল না। এদিকে ওখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি।
কলকাতার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্না। সুশান্ত ঘোষ ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পাশাপাশি ওয়ার্ড। দুজনেই তৃণমূলের। আর তাদের অনুগামীদের মধ্য়েই ঝামেলা। সূত্রের খবর, তাদের এই ঝামেলার কথা দলের উপর মহলের কাছে পৌঁছয়। বলা ভালো তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছেও এই ঘটনার কথা পৌঁছায়। সূত্রের খবর, এরপর বিরক্তি প্রকাশ করেন অভিষেক।
এদিকে সামনেই ভোট। তার আগে যেভাবে একের পর এক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমেই উসকে উঠেছে তা চিন্তার বিষয় দলের কাছে। এমনকী তাপস রায়ের মতো নেতাও যোগ দিলেন বিজেপিতে। এটা তাৎপর্যপূর্ণ। তিনিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। খোদ কুণাল ঘোষও সরাসরি সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। দলের মুখপাত্রের পদও ছেড়ে দেন। একেবারে টালমাটাল পরিস্থিতি। তবে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অবশ্য় ফোন পেয়েই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে যান কুণাল। সেখানে চা, ফিসফ্রাই, নাড়ু খেয়েছেন বলে খবর।
কিন্তু দ্বন্দ্ব কতটা দূর হবে সেটাও প্রশ্নের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একের পর এক দুর্নীতির খবর সামনে আসছে। সেসব সামলাতে গিয়ে তৃণমূল আরও বিপাকে পড়ছে। তবে ভোটে তার প্রভাব কতটা পড়বে সেটাই দেখার। কারণ এখনও বাংলাজুড়ে কাজ করে মমতা ম্যাজিক। এখনও বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কতটা বৃদ্ধি করা হল তার উপর ভোট কোনদিকে যাবে সেটা নির্ধারিত হয়। সেক্ষেত্রে আদৌ এবারের ভোটে বিজেপি কতটা সুবিধা করতে পারবে সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কারণ গত বিজেপি সাংসদরা গত পাঁচ বছরে বাংলায় তাঁদের নিজেদের সাংসদ এলাকার জন্য কতটা কী করেছেন তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্য়েই নানা প্রশ্ন রয়েছে।