হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় লোকাল ট্রেন চালু হতেই ফের যাত্রী নিবাস খোলার অনুমতি দিল রেল বোর্ড। সেই সঙ্গে জন আহার ও ফুড প্লাজা খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সব জোনের প্রিন্সিপাল চিফ কমারশিয়াল ম্যানেজারদের চিঠি দিয়ে এই কথা রেলের তরফে জানানো হয়েছে। রেলের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি নিত্যযাত্রীরা।
বিমান বন্দরের ফুড লাউঞ্চের সঙ্গে হাওড়া ও শিয়ালদহের ফুড প্লাজার তুলনা করা হয়। এখানে একসাথে যাত্রী দাঁড়িয়ে বা বসে খাবার খেতে পারেন। সেইসঙ্গে খাবার নিয়েও যেতে পারেন। স্বভাবত এতগুলি সুবিধা থাকায় এই সব ফুড প্লাজা খুলে রাখার নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে থেকে দাবি উঠছিলই। শেষ পর্যন্ত নিত্য যাত্রীদের এই দাবিকেই মান্যতা দিল রেল। হাওড়ার ফুড প্লাজায় ২৭৫ জনের বসে ও দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে চা, কফি, ফ্রুড জুস থেকে শুরু করে বিরিয়ানি, ধোসা, ইডলি সবকিছুই মেলে। স্টেশনের সব ফুড প্লাজাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে আইআরসিটিসি। তবে এবারে রেল বোর্ডের অনুমতি মেলায় ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে রেল স্টেশন চত্বরের ফুড প্লাজা ও যাত্রী নিবাস। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন লকডাউনের সময়ে এই সব জায়গাই তালাবন্দ হয়ে পড়ে ছিল।
আইআরসিটিসির গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের অসুবিধার কথা রেলকে জানিয়েছিলাম। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও কিছু ট্রেন চালু হবে। ফলে যাত্রীদের আনাগোনা বাড়বে। নতুন নিয়মে কোভিড বিধি মেনেই যাত্রীরা ফুড প্লাজায় বসে খেতে পারবেন। ২৫ শতাংশের বেশি কাউকে বসে খেতে দেওয়া হবে না। মাস্ক বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে সর্বক্ষণ স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।’