শিল্পোন্নয়ন থেকে শুরু করে নগরায়নের জন্য কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। যার ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই পরিবেশকে বাঁচাতে আরও পদক্ষেপ করতে চলেছে বনদফত। এবার থেকে ব্যক্তিগত মালিকানাতে থাকা কোনও গাছ কাটতে গেলেও বনদফতরের অনুমতি নিতে হবে। আর সেই নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বুধবার বিধানসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'ভেবেছিল, দলের সঙ্গে যুক্ত....', টেন্ডার ছাড়াই গাছ 'কাটলেন' তৃণমূল নেতার দাদা
এতদিন ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা গাছ কাটতে গেলে শুধুমাত্র স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হত। এবার থেকে বনদফতরের অনুমতি নিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি উন্নয়নের কাজ থেকে শুরু করে রাস্তা তৈরি বা সম্প্রসারণের জন্য যদি গাছ কাটার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে গাছের ক্ষতি না করে যাতে অন্যত্র সরানো যায় তার চিন্তা ভাবনাও করা হচ্ছে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র রয়েছে। সেই যন্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে বনদফতর।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবেশ দূষণ। গাছ কাটার ফলে চরিত্র বদলাচ্ছে জলবায়ু। বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীঘ্রই এর মোকাবেলা না করা হলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়বেন বহু মানুষ। বিশেষ করে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের সমুদ্রের জলস্তর বাড়বে। যার ফলে উপকূলবর্তী বহু এলাকা চলে যাবে জলের নীচে। তাছাড়া যেভাবে বায়ুদূষণ বাড়ছে তার ফলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার অন্যতম কারণ হল বৃক্ষ নিধন করা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গাছ কাটা নিয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে চাইছে বনদফতর।