প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এখন অনেকটা ভাল আছেন। শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁর ক্যাথিটর খুলে দেওয়া হয়েছে। আ্যান্টি বায়োটিকের কোর্সও আজই শেষ হচ্ছে। আজ, শনিবার দুপুরের মেডিক্যাল বোর্ডে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এখনও চার ঘণ্টা অন্তর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বাইপ্যাপ দেওয়া হচ্ছে। ৮ দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছে বেসরকারি হাসপাতালে। আজ, শনিবার চিকিৎসকরা আলোচনা করবেন, কবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়া সম্ভব বলে সূত্রের খবর।
কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে? আজ, শনিবার দুপুর সাড়া ১২টা নাগাদ এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ বুদ্ধবাবু এখন হাসপাতালে আর থাকতে চাইছেন না। সম্প্রতি তিনি চিকিৎসকদের বলেছেন, ‘এবার আমাকে ছেড়ে দিন। বাড়ি যেতে দিন।’ তাই যদি সত্যিই কয়েকদিনের মধ্যে বুদ্ধবাবুকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে সেখানে কেমনভাবে তাঁকেকে রাখা হবে এবং তাঁর চিকিৎসা করা হবে সেটা মুখ্য আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। শনিবার হাসপাতালের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, নন–ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে আজ শনিবার বুদ্ধবাবুর অ্যান্টিবায়োটিকে ডোজ বন্ধ করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কী বলা হয়েছে আজকের বুলেটিনে? আজ, শনিবার সকালে হাসপাতালের বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়েছে, বুদ্ধবাবুকে নন–ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। আগের থেকে অনেক অনেকটাই সুস্থ আছেন তিনি। তাই বাড়িতে ফেরার বায়না করেছেন বুদ্ধবাবু। হাসপাতালে থাকতে পছন্দ করেন না তিনি। তাই বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে চান তিনি। দ্রুত চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গত দু’দিনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা আর কোনও অবনতি হয়নি। বরং চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর স্বাস্থ্য ক্রমশ উন্নতির দিকেই যাচ্ছে। অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছেন। কথা বলছেন। তবে অল্প।
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন এমন ঘটল দু’জনের মধ্যে?
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ বুদ্ধবাবুকে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা সেটা পর্যালোচনা করে দেখছেন চিকিৎসকরা। মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এখন দেখার বিষয়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়ি ফেরার ইচ্ছেপূরণ হয় কিনা। সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে রেখেই আলোচনা হচ্ছে। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রত্যেকে এখানে উপস্থিত রয়েছেন। তার সঙ্গে আজকের পরিস্থিতিও যোগ করা হচ্ছে। আম এবং স্যুপ তিনি যে খেতে পেরেছেন সেটাও সামনে রাখা হয়েছে। তবে চিন্তার বিষয় একটাই টাইপ–২ রেসপিরেটরি ফেলিওর। যা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।