পঞ্চমীর সন্ধ্যায় রেড রোডে শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ দু'জনের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় কেউ আহত হননি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে পুজোর সময় যেখানে কড়া আটসাঁট নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে কীভাবে পঞ্চমীর সন্ধ্যায় রেড রোডের মতো জায়গায় গুলি চালিয়ে দু'জন পালিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, পঞ্চমীর সন্ধ্যায় রেড রোডে একটি বাস্কেটবল ক্লাবের সামনে কয়েকজন অনুশীলন করেছিলেন। ছিলেন বাস্কেটবলের প্রশিক্ষক। তারইমধ্যে দু'জন বাইক আরোহী সেখানে আসে। বাস্কেটবল শিখতে চায় বলে ওই প্রশিক্ষককে জানায়। কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয়। অভিযোগ, তারইমধ্যে আচমকা গুলি চালায় ওই দু'জন। তারপরই এলাকা ছেড়ে পালায়। তবে শূন্যে গুলি চালানোয় কেউ হতাহত হননি।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য পুলিশের তরফে এখনও মুখ খোলা হয়নি। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কীভাবে রেড রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গুলি 'চালিয়ে' দু'জন পালিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষত দুর্গাপুজোর কারণে শহরের সর্বত্র নিরাপত্তা যেখানে বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এমনিতেই এবার উত্সবের মরশুমে রাজ্যে হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় বাংলায় হামলার চালানোর আশঙ্কার জেরে বাড়তি সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। পুলিশকে আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত হামলা চালাতে জনবহুল স্থান বা গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে বেছে নেয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোর সময় মানুষের ঢল নামে। করোনা আবহে বিধিনিষেধ থাকলেও উত্সবের আমেজে গা ভাসাতে আপামর বাঙালি রাস্তায় নামবেনই। তারপরও এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।