রোগীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে অফিস খুলে রয়েছে বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থা। এই সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে হাসপাতালের বিল মেটানোর সুবিধা রয়েছে রোগী পরিবারের। সেরকমই একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে হাসপাতালের বিল মেটানোর পরে সমস্যায় পড়তে হলও রোগী পরিবারকে। গভীর রাতে পুলিশ নিয়ে রোগীর বাড়িতে বিল মেটানোর জন্য চাপ দিল একটি বেসরকারি হাসপাতাল। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ জমা পড়েছে স্বাস্থ্য কমিশনে। সেই সংক্রান্ত মামলায় একদিনের মধ্যে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার অফিস বন্ধ করার নির্দেশ দিলে স্বাস্থ্য কমিশন।
আরও পড়ুন: সন্তান প্রসবের পর মহিলার মৃত্যু, নার্সিংহোমকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
অনেক বেসরকারি হাসপাতালে ঋণ প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থার কাজ হল একদিনের মধ্যেই রোগী পরিবারকে ঋণ পাইয়ে দেওয়া। কলকাতার একাধিকবার বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে অফিস খুলে রয়েছে এই বেসরকারি সংস্থা। কিন্তু সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিল মোটানোর পরেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী পরিবারকে। মূলত যে সমস্ত রোগী পরিবারের বেল মেটানোর সামর্থ থাকে না তারাই এই সমস্ত সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। তখনই ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন পরিজনরা। কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ রোগী-পরিজনেরা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে হাসপাতালে বিল মিটিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই রাত দেড়টা নাগাদ হাসপাতালের তরফে পুলিশ নিয়ে ওই রোগীর বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। রোগী পরিবারকে বিল মেটানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। এই অভিযোগ স্বাস্থ্য কমিশনে জমা পড়ার পরেই অভিযুক্ত হাসপাতালকে একদিনের মধ্যে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার অফিস বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সে ক্ষেত্রে অফিস বন্ধ না হলে গুরুতর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।
উল্লেখ্য, রোগীদের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্য সরকারের। তবে এই প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সব ধরনের চিকিৎসার সুবিধা মেলে না। তাই অনেক রোগী ঋণ নিয়ে থাকে। এদিকে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হয়েছে অথচ ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি থাকলে সেই সমস্ত রোগীর মৃত্যু হলে দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বেলগাম বিলে রাশ টানতেও উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা খরচ নির্দিষ্ট করতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। কোন রোগের চিকিৎসার খরচ সর্বোচ্চ কত ? সেই উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে নবান্ন। এই কমিটিতে চারজন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা রয়েছেন।