কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আপাতত স্বস্তিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং এবং রাকেশ সিং। আর তার সঙ্গে স্বস্তি পেল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ বিজেপি’র নবান্ন অভিযানের দিন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে করা পুলিশের এফআইআরের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
গত ৮ অক্টোবর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই অভিযানে তাণ্ডবের জন্য কলকাতা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় একটি এফআইআর করে। এমনকী অভিযোগ, সেই এফআইআর–কে সামনে রেখে কয়েকজন বিজেপি নেতাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতিও চালাচ্ছিল পুলিশ। কিন্তু বিজেপি পাল্টা মামলা করায় তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।
এই এফআইআরের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন চার বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং এবং রাকেশ সিং। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটি উঠলে বিজেপি নেতাদের কৌঁসুলি রাজদীপ মজুমদার জানান, রামলীলা ময়দানে আন্না হাজারে, কেজরিওয়ালরা ধর্না ও মিছিল করার সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ধর্না, মিছিল, সমাবেশ, প্রতিবাদ– সবই মানুষের মৌলিক অধিকার। সেখানে এফআইআর করা যাবে না।
শুনানির পর আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তদন্তের উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ জারির নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশের ফলে স্বস্তিতে বিজেপি শিবির। বিচারপতি এই মামলাটি আবার ২৬ নভেম্বর শুনবেন বলে জানিয়েছেন। সুতরাং ততদিন পর্যন্ত কোনও চাপ নেই বিজেপির এই প্রথমসারির নেতাদের। পরবর্তী তারিখে বিজেপির আইনজীবী প্রশ্ন করবেন, পুলিশ কেন এফআইআর করল? কোন ভিত্তিতে করল?