রবীন্দ্রভারতী বিতর্কে ফের একবার তাঁর সাংবিধানিক অধিকারে রাজ্য সরকারি অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি প্রশ্ন তুললেন, শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যের ইস্তফা গ্রহণ করা বা না করার কে? উপাচার্যকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল বা আচার্য। পদত্যাগ করলে তা করতে হবে আচার্যের কাছে। এখানে শিক্ষামন্ত্রীর কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না।
গত বৃহস্পতিবার বসন্তোৎসবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে তোলা কিছু ছবি ও ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের বুকে পিঠে রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে কুকথা মিশিয়ে লেখা দেখা যায়। সেই ছবি ভাইরাল হলে শুক্রবার চরম শোরগোল শুরু হয়। যারা একাজ করেছেন তাদের শাস্তির দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন বহু মানুষ। তার মধ্যে ছিলেন বিশিষ্টরাও। ঘটনার সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সন্ধেয় নাটকে যবনিকা পড়েছে বলে যখন মনে হচ্ছিল তখন হঠাৎই ইস্তফা দেন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। জানা যায়, পুলিশের অভিযোগ নিয়ে শাসকের সঙ্গে বিবাদের জেরেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ইস্তফা পাঠিয়েছের আচার্য জগদীপ ধনখড় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।
এদিন রাজ্যপাল জানান, তাঁর কাছে সব্যসাচীবাবুর কোনও ইস্তফাপত্র পৌঁছয়নি। আর শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেননি বলে যে দাবি করছেন তাও অর্থহীন। কারণ উপাচার্যের ইস্তফা গ্রহণ করার অধিকার নেই শিক্ষামন্ত্রীর। সেই অধিকার একমাত্র রয়েছে আচার্যর। ফলে ওই ইস্তফাপত্র পেশ করা আর না করা সমার্থক।
বলে রাখি, সব্যসাচীবাবু ইস্তফা পেশ করার পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ইস্তফা গ্রহণ করবেন না তিনি। শনিবার উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় শিক্ষামন্ত্রীর। সব্যসাচীবাবুকে বুঝিয়ে বলেন তিনি। এর পর ইস্তফা প্রত্যাহার করেন তিনি।
রাজ্যপালের মন্তব্যের প্রতিবাদে তৃণমূলের মহিলা নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিজের এক্তিয়ার সম্মন্ধে সম্যক জ্ঞান রয়েছে। নিজের এক্তিয়ারে থেকেই কথা বলেছেন তিনি। এই নিয়ে কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।’