কলকাতার আনন্দপুর থেকে গ্রেফতার মানবপাচারকারী মফুজুর রহমানের পাকিস্তানে যোগাযোগ ছিল। তদন্তে নেমে এরকমই জানিয়েছে লখনউ ATS. ওদিকে যে বাড়ি থেকে ১৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মালিককে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন আনন্দপুর থানার আধিকারিকরা।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, মানবপাচারচক্রে আড়কাঠি হিসাবে কাজ করত মফুজুর। বাংলাদেশ থেকে যুবকদের এনে সে রাখত কলকাতায়। সেখানে তাঁদের হিন্দিভাষা শেখানো হতো। নাম বদল করে তাদের নামে তৈরি করা হতো জাল নথি। নতুন নাম নিখুঁতভাবে সই করাও শেখানো হতো কলকাতায় থাকাকালীন।
লখনউ পুলিশের গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেন যুবকরা। মফুজুরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বেশ কয়েকজন পাকিস্তানির। ফলে কোনও পাকিস্তানিকে সে ভারত হয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে কি না সেই প্রশ্নও উঠছে।
ওদিকে যে বাড়িতে মাদ্রাসা বানিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভাড়া ছিল তার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে আনন্দপুর থানা। গুলশন কলোনির ওই বাড়ির মালিককে মঙ্গলবার থানায় ডেকে পাঠান আধিকারিকরা। কোন নথির ভিত্তিতে তিনি বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন তা জানতে চাওয়া হয়। জবাব সন্তোষজনক না হলে গ্রেফতার হতে পারেন তিনিও।
রবিবার কলকাতার আনন্দপুরে লখনউ পুলিশের STF-এর অভিযানে গ্রেফতার হয় ১৭ জন বাংলাদেশি। তাদের ভারত হয়ে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছিল।