যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই ঘটনা নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছিল গোটা দেশেই। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নামে। একের পর এক প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়াকে গ্রেফতারও করা হয়। সেই তদন্ত এখনও চলছে। এরই মাঝে অভিযুক্ত ৬ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তবে এই 'শাস্তি' সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। অবশ্য, এই প্রসঙ্গে যাদবপুরের রেজিস্ট্রার পালটা দাবি করেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর কর্মসমিতির বৈঠকের প্রস্তাব অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ, অষ্টম বেতন কমিশন থেকে OPS-এর দাবি, ৫০ বছর পর ধর্মঘটে থমকে যাবে রেল?)
আরও পড়ুন: আচমকাই ইউপিআই আইডি অচল হবে বহু মানুষের, পেমেন্ট অ্যাপগুলিকে নির্দেশ NPCI-এর
এদিকে কী শাস্তি দেওা হয়েছে? তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রবেশ করতে পারেন না অভিযুক্তরা। অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত, সোশ্যলজি বিভাগের স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ, ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া মহম্মদ আসিফ আফজাল আনসারি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের অঙ্কন সরকার ও মহম্মদ আরিফ এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া সত্যব্রত রায়ের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বন্দে ভারতে চেপে মনে হবে এ যেন বিমান! চালু 'পাইলট' প্রকল্প, মিলবে কোন সুবিধা?)
আরও পড়ুন: এই কাজ না করলে বেশি দামে কিনতে হবে LPG সিলিন্ডার, মাথায় হাত পড়বে আম জনতার?
এদিকে এই তথাকথিত শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের দাবি, অভ্যন্তরীণ কমিটির তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে এই শাস্তি যথাযথ নয়। উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ তদন্তের শেষে সত্যব্রত, আরিফ, দীপশেখ এবং মনোতোকে আজীবন বহিষ্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আফজালকে দু'টি সেমিস্টার এবং অঙ্কনকে ৪টি সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রিপোর্টে। এই আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি অথবা জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় অভিযোগ করেন, দোষীদের আড়াল করতেই এই 'শাস্তি'। তাঁর বক্তব্য, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর। তার ২ মাস পর এমন পড়ুয়াদের নামে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে যারা কি না জেলে। এদিকে এসবের মাঝেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াড এই ঘটনা নিয়ে বৈঠক করবে। তারা এই নিয়ে যা রিপোর্ট দেবে, তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করবে অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি।