যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকে জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। গত ১১ অগাস্ট গ্রেফতারির পর থেকে পুলিশ হেফাজতে ছিলেন তিনি। এদিন জামিনের আবেদন নিয়ে সওয়ালের সময় সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে সৌরভের আইনজীবীর বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। এর পর ধৃতকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, নিশানা করে নির্যাতন করা হয়েছে মৃত ছাত্রকে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর JUMH নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পুলিশকে কী বলতে হবে তা নিয়ে নির্দেশিকা দেয় সৌরভ। পরে গ্রুপটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের ফোন থেকে সেই গ্রুপের তথ্য উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। সঙ্গে তিনি বলেন, যে গামছা জড়িয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রকে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। সেই রক্ত নিহত ছাত্রেরই কি না তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিন সৌরভের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, নিশানা করে সৌরভকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পালটা সরকারি আইনজীবী বলেন, নিশানা করে নিহত ছাত্রকে নিগ্রহ করা হয়েছে। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ বেঁধে যায়। এর পর বিচারক ধৃতকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
ধৃতের আইনজীবী আদালতে অনুরোধ করেন, জেলে যেন দাগি অপরাধীদের সঙ্গে না রাখা হয় সৌরভকে। সৌরভ কোনও দাগি অপরাধী নন। তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত যুবক। যদিও সেই আবেদনে সাড়া দেননি বিচারক।