বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই কলকাতার তাপমাত্রা নিম্নমুখী। রাতে শহরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচেই থাকছে। আর এই ঠান্ডার মধ্যেই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফেরানো হল বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল জ্য়োতিপ্রিয়কে। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় বালু প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে পৌঁছন। জানা গিয়েছে, ঠান্ডা থেকে বাঁচতে সেলে ৬টি কম্বল দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীকে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশের যে সেলে বালুকে প্রথমে রাখা হয়েছিল, গতকালও সেই সেলেই ফেরানো হয় তাঁকে। সেখানে সেলে নীচে মেঝেতে পেতে শোয়ার জন্য এবং গায়ে চাপানোর জন্য মোট ৬টি কম্বল মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: 'রাজ্যালের কাজ শুধু রিপোর্ট চাওয়া নয়...', সন্দেশখালি-পুরুলিয়াকাণ্ডে সরব বোস)
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে যোগ থাকার অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ১৪ দিন ইডি হেফাজতে থাকার পর প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়েছিল মন্ত্রীকে। এদিকে ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই অবশ্য স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত বালুকে। সেই সময় সাংবাদিকদের নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পরে আদালতেও নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন বালু। পরে জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। সেটা নভেম্বর মাস। তখন তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এরপর নভেম্বর থেকে বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ এসএসকেএম হাসপাতালেই কেটেছিল জ্যোতিপ্রিয়র। এই সবের মাঝেই সাম্প্রতিককালে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রভাবশালীদের 'আতিথিয়েতা' নিয়ে বিতর্ক, মামলা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'কে এসএসকেএম-এ শিশুদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউ বেজে রাখা হয়েছিল। যা নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছিল। এই সব নিয়ে আলোচনার মাঝেই বালুকে ছেড়ে দিল এসএসকেএম হাসপাতাল। কারণ এর আগে বালুর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালের রিপোর্টের সঙ্গে পরিস্থিতির খাপ খাচ্ছিল না। মন্ত্রীকে জানলা দিয়ে হাসতে দেখা গিয়েছে। ওদিকে রিপোর্ট বলছিল, মন্ত্রী অসুস্থ। যদিও রিপোর্ট ও সেই দৃশ্য, এই দুইয়ে কোনও মিল ছিল না।
এদিকে জেলে মন্ত্রীর সেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রীর সেলের কাছে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। তবে ঠান্ডায় যাতে মন্ত্রী কাবু না হয়ে পড়েন, তার ব্যবস্থা করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। তাও সাত সপ্তাহ পর সেলে ফিরে বেশ ঠান্ডাতেই রাত কাটাতে হল বালুকে।