হাতিবাগান সংলগ্ন এলাকায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড। ১৯৮৫ সাল থেকে এই ওয়ার্ডেই (সংরক্ষণের জন্য মাঝে দুইবার অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন) সাত বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূলের অতীন ঘোষ। এবারও এই আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন পোড়খাওয়া এই রাজনীতিক। এবং প্রাথমিক ট্রেন্ডেই দেখা গেল তিনি বশে ভালো ব্যবধানে এগিয়ে যান এই ওয়ার্ডে। গণনা শেষে দেখা যায় বিশাল ব্যবধানে এই ওয়ার্ডে ফের একবার জিতে অষ্টমবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন অতীন।
পুরোনো কলকাতার নলীন সরকার স্ট্রিট, ডালিমতলা লেনের মতো জায়গাগুলি এই ওয়ার্ডের অন্তর্গত। দুই নং বরোর এই ওয়ার্ডের উত্তর দিকে আছে শ্যামবাজার স্ট্রিট, ভূপেন্দ্র বসু অ্যাভিনিউ ও বাগবাজার স্ট্রিট; পূর্ব দিকে আছে বিধান সরণি; দক্ষিণ দিকে আছে রামকান্ত বসু স্ট্রিট ও শ্রীঅরবিন্দ সরণি এবং পশ্চিম দিকে আছে যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ ও সচিন মিত্র লেন। এই ওয়ার্ড শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
ডেপুটি মেযরের দায়িত্ব সামলানো অতীন ঘোষের বিরুদ্ধে বিজেপি মানস সেন চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল। তবে অতীনকে সেভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হননি তিনি। তাছাড়া ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রদ্যুৎ নাথ, কংগ্রেসের সুখেন্দু ঘোষও ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তবে ভোটে দাঁড়ালেও ‘লড়তে’ পারেননি কেউই। এই ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে হাতিবাগান৷ সেখানে হকার সমস্যা দীর্ঘদিনের তাছাড়া বেআইনি পার্কিং, ব্রিটিশ আমলে তৈরি বস্তির সংস্কার না হওয়াও বড় সমস্যা; তবুও অ্যাডভান্টেজ অতীন৷
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ থেকে ডেপুটি মেয়রের পদ সামলানো অতীন ঘোষ নিজের এলাকাকে চেনেন হাতের তালুর মত। এখন তিনি কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক৷ তবুও কলকাতার শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্থা রেখেছেন তাঁর উপরই। সাবেক কলকাতার এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বলছেন, গত সাড়ে তিন দশক ধরে যে কোনও বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যায় তাঁকে।