বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Sexual harrasment: কলকাতায় নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা, ৬ বছর পর FIR, গ্রেফতার নাটকের শিক্ষক

Sexual harrasment: কলকাতায় নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা, ৬ বছর পর FIR, গ্রেফতার নাটকের শিক্ষক

ছাত্রীর যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক। প্রতীকী ছবি। (Freepik)

নাবালিকা বর্তমানে তরুণী। যখন তাঁর অভিযোগ, যৌন হেনস্থার ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। সেই সময় তার বয়স ছিল ১২ বছর। রথ তলায় একটি নাটকের ক্লাসে যোগ দিয়েছিল ওই ছাত্রী। অভিযোগ তারপর থেকেই ওই শিক্ষক তাকে নানাভাবে উত্তপ্ত করতে শুরু করে। 

৬ বছর আগে নাট্য ক্লাসের মধ্যে নাবালিকা ছাত্রীর যৌন নির্যাতন করেছিলেন নাটকের শিক্ষক। গত সপ্তাহে ওই ছাত্রী অভিযোগ দায়ের করার পরে নাটকের শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত শিক্ষকের নাম রাজা ভট্টাচার্য। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনের ১০ ও ১২ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলার রুজু করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

আরও পড়ুন:জোর করে ছাত্রীর সঙ্গে সহবাসের চেষ্টা, অভিযোগের তির বিশ্বভারতীর অধ্যাপকের দিকে

ওই নাবালিকা বর্তমানে তরুণী। যখন তাঁর অভিযোগ, যৌন হেনস্থার ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। সেই সময় তার বয়স ছিল ১২ বছর। রথ তলায় একটি নাটকের ক্লাসে যোগ দিয়েছিল ওই ছাত্রী। অভিযোগ তারপর থেকেই ওই শিক্ষক তাকে নানাভাবে উত্তপ্ত করতে শুরু করে। কখনও ক্লাসের মধ্যেই আবার কখনও বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার নাম করে যৌন হেনস্থা চালাত ওই শিক্ষক। তরুণী সেই সময় নাবালিকা থাকায় ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। তবে ঘটনার ৬ বছর পর সাহস যুগিয়ে শেষমেষ গত ২৩ জুন বাঁশদ্রোণী থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশ গতকাল ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে তোলা হলে ২৮ জুন পর্যন্ত পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই অভিযুক্ত শিক্ষক অন্য কোন ছাত্রীর সঙ্গে এই ধরনের কাজ করেছে কিনা বা তাকে কেউ সাহায্য করেছিল কিনা সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই পুলিশ নির্যাতিতা ছাত্রীর তৎকালীন সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গিয়েছে। মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, ‘আমরা চাই দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হোক।’

এই ঘটনায় ছাত্রী এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সব রকমের পদক্ষেপ করেছি। মেয়েটি এখন প্রাপ্তবয়স্ক। তবে সে যখন নাবালিকা ছিল তখন এই ঘটনা ঘটেছিল। এতদিন পরেও অভিযোগ জানিয়ে সে দৃষ্টান্তমূলক সাহস দেখিয়েছে। তার সাহসের প্রশংসা করা উচিত। তার বাবা-মা আমাদের সব রকমভাবে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন।’

শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তীও অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ভূমিকার প্রশংসা করি। নির্যাতিতা যে সাহস দেখিয়েছে তা অন্যান্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’ অভিনেতা সুদীপ্ত চক্রবর্তীও নির্যাতিতার সাহসের প্রশংসা করেছেন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই ছাত্রী। তারপরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।

বন্ধ করুন