স্বপ্নদীপ কুণ্ডু মৃত্যু রহস্য দ্রুত সামনে আসবে। এই তদন্ত প্রক্রিয়ায়ও দ্রুত শেষ হবে বলে জানিয়ে দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আজ, রবিবার রেড রোড পরিদর্শনে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন কথাই জানালেন তিনি। অর্থাৎ গোটা ঘটনার রহস্যের জাল যে লালবাজারের হাতে চলে এসেছে সেটা পরোক্ষে বুঝিয়ে দিলেন পুলিশ কমিশনার। স্বপ্নদীপের মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে আরও দুই পড়ুয়া। আগে সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেফতার হওয়া দুই পড়ুয়ার নাম দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ।
এদিকে এই মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ বলেও জানিয়েছেন তিনি। কাল বাদে পরশু দেশের স্বাধীনতা দিবস। রেড রোডে হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। তার জন্য নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এবার সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এলেন শহরের নগরপাল। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিনীত গোয়েল যাদবপুরের কাণ্ড নিয়ে বলেন, ‘যাদবপুরের ঘটনায় আজ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চলছে। একজন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার সর্বক্ষণ তদন্ত প্রক্রিয়ার তদারকি করছেন। দ্রুত কিনারায় পৌঁছে যাওয়া যাবে।’
অন্যদিকে ধৃত পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষের গেস্ট হিসেবে হস্টেলের রুমে ছিলেন স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। তবে ঘটনার দিন অন্য রুমে নিয়ে গিয়ে চলে অত্যাচার বলে সূত্রের খবর। রাত থেকে শুরু হয় স্বপ্নদীপের উপর অত্যাচার। এই ঘটনার সময় সেখানে হাজির ছিল সৌরভ, দীপশেখর এবং মনোতোষ। মনোতোষের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ বলে সূত্রের খবর। এতকিছুর পর পুলিশ কমিশনার আজ রেড রোডে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই মৃত ছাত্রের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তার ভিডিয়োগ্রাফিও নিখুঁতভাবে করা হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারব বলেই আশা করছি।’ সৌরভ চৌধুরীকে জেরা করেই বাকি দু’জনের নাম সামনে আসে।
আরও পড়ুন: ‘মা যেন আমার দলের সহকর্মীদের শক্তি দেন’, দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে প্রার্থনা নড্ডার
তারপর ঠিক কী ঘটেছে? মনোতোষের মোবাইল ফোনে স্বপ্নদীপের কোনও ভিডিয়ো আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত দীপশেখর অর্থনীতির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং মনোতোষ সোশিওলজির ছাত্র। তাদেরকেও রাতভর জেরা করা হয়। আজ সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সুতরাং ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে বহু তথ্য চলে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পিছনে আরও কয়েকজন আছে বলে পুলিশ মনে করছে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেনি। গোটা ঘটনার তদন্ত এতটাই দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে যে কিনারা করতে খুব একটা সময় লাগবে না। তাই তো পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারব।’