আজ, বুধবার সকাল থেকে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠল। কারণ কর্মব্যস্ত দিনে ব্যাহত হয়ে পড়েছে শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চলাচল। সারারাত মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরে ধস নেমেছে রেললাইনে। রেললাইনের পাশের মাটি ধসে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার জেরে শিয়ালদা মেন–লাইনে ব্যাহত হয়ে পড়েছে ট্রেন চলাচল। শিয়ালদা–নৈহাটি শাখায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৫টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে অফিস টাইমে ট্রেনের এমন অবস্থার মুখোমুখি হয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে নিত্য যাত্রীদের। প্রত্যেক স্টেশনে ভিড় দেখা যাচ্ছে যাত্রীদের। আরও সমস্যা বেড়েছে সড়ক পথে সবাই যেতে পারছেন না। কারণ সারারাত তুমুল বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় জল জমে আছে। ফলে সেখানেও যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। মেট্রো পথে যাদের অফিস তারা একমাত্র ঠিকঠাক যাতায়াত করতে পারছে। বাকিরা নাকাল হচ্ছেন। সকালেও বেশ বৃষ্টি হয়েছে। ট্রেন না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। তার জেরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন কলকাতা থেকে জেলা। তাই রাস্তা বেরিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
অন্যদিকে রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদা এবং বিধাননগর স্টেশনের মধ্যে আপ লাইনের ধারে মাটিতে ধস নেমেছে। তার জেরেই এই বিপত্তি। কাঁকুড়গাছি রেল কেবিনের কাছে এই মাটি ধসে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। সাধারণত নাগাড়ে বৃষ্টি হলেই এমন সমস্যা দেখা দেয়। রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শহর থেকে জেলা। জল জমেছে রেল লাইনেও। অন্যান্য দিনের মতোই আজও নির্দিষ্ট সময়ে শিয়ালদা থেকে সমস্ত লাইনে টেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু একটু এগিয়েই থমকে যেতে হয়। ফলে এবার ট্রেন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। রেলের পক্ষ থেকে বাড়তি কিছু জানানো হচ্ছে না। তাতে আরও সমস্যা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: এবার বিডিও’দের বদলি করে দিল নবান্ন, রদবদলের নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে?
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে শিয়ালদা এবং বিধাননগরের মাঝে কাঁকুরগাছি রেল কেবিন এলাকায় রেল লাইনের পাশে মাটিতে ধস নেমেছে। তার সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য শিয়ালদা–নৈহাটি অর্থাৎ মেন লাইনে ট্রেন চলাচাল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শুরু হয় সেখানে মেরামতির কাজ। যাত্রীরা ট্রেন পাবেন নাকি পাবেন না—এমন কোনও তথ্য রেলের কাছ থেকে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক কখন হবে ট্রেন চলাচল? তাও জানতে পারছেন না। শুধু ট্রেন বাতিলের খবর পাচ্ছেন। তবে কিছু ট্রেন চলছে অনেকটা দেরিতে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলের ভূমিকা। কারণ, যে জায়গায় ধস নেমেছে তার ঠিক পাশেই চলছে নির্মাণ কাজ। চলছে খনন কাজও। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাইন মেরামতির কাজ চলছে। শিয়ালদা এবং বিধাননগরের মাঝের লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে লোকাল ট্রেন ছাড়াও কিছু ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনও চলে।