এবার আর কড়া হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের টাকার অপচয় করা হয়েছে বলে তীব্র ভাষায ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। বুধবার নবান্নে আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বলেন, ‘টাকা ঠিকমতো ব্যবহার করা উচিত। সেটা ঠিক মতো হয়নি। আমাদের টাকা অপচয় করা হচ্ছে। প্রত্যেক বছর বাঁধ সারালেও কেন তা ভেঙে যাচ্ছে? লাখ লাখ টাকা জলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা উচিত।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘আমফানের সময় প্রচুর গাছ ভেঙেছে। সেই গাছ কোথায়?’ এই প্রশ্ন তুলে তিনি সব দফতরের থেকে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ রুখতে প্রকৃতিই ভরসা। তাই দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে। তিন দিনের মধ্যে তার রিপোর্ট দিতে হবে। দিঘার সৌন্দর্যায়ন ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে। দিঘায় সৌন্দর্যায়নের কাজে গাফিলতি ছিল বলেই ক্ষতি হয়েছে। এই গাফিলতির তদন্ত হবে। বছরের পর বছর সেতু তৈরির কাজ আটকে কেন? সেচ দফতর, মৎস্যজীবীদের জন্য পরিকল্পনা দরকার। মন্দারমণিতে হোটেলের ক্ষতি হয়েছে নিজেদের দোষে। সমুদ্রের ধারে হোটেল তৈরি করেছে।’
এই দিঘা–মন্দারমণিতে কাজে গাফিলতির তদন্ত হলে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ এই এলাকার দায়িত্বে আগে ছিলেন তৎকালীন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এখন তিনি দলবদলে বিজেপিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। ফলে দুর্নীতিতে তিনি জড়াতে চলেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হবে। সেই কমিটিতে থাকবেন নদী বিশেষজ্ঞ। এখনও গ্রামে বিদ্যাধরী নদীর জল ঢুকছে। আর তাতে প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম। ফের ভরা কোটাল আসছে। ২৬ জুন ভরা কোটাল। তার আগে বাঁধ মেরামতির কাজ করতে হবে। রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে, বসে থাকবেন না। তিনদিনের মধ্যেই দেবেন। অযথা টাকা খরচ নয়। যথাযথভাবে পরিকল্পনামাফিক এসবের পিছনে অর্থব্যয় করতে হবে।’