তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বিরোধীদের একমুখী হামলার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তাপস পালের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কী করেছেন তা তাঁর পরিবার জানে।’
মঙ্গলবার ভোরে প্রয়াত হন তাপস পাল। সেদিনই তাঁর মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় রাজনীতির তরজা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কারা সাধারণ ভাল মানুষকে খারাপ করছে তা বোঝা দরকার।’ সেদিন ফিরহাদ পালটা বলেন, ‘কেন্দ্রের প্রতিহিংসাপরায়নতার বলি তাপস পাল।’ ওদিকে দিলীপবাবুর মন্তব্যের নিন্দা করে তৃণমূলের মহাসচিপ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সবাই মানুষ হয়ে জন্মালেই মানুষ হয় না।‘
কিন্তু এই বিতর্ক অন্য মাত্রা নেয় বুধবার বেলায়। তাপস পালের দেহ তখন শায়িত ছিল কলকাতার রবীন্দ্র সদনে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রের প্রতিহিংসায় অসময়ে চলে গেলেন তাপস পাল।’ এর পরই একযোগে আক্রমণ শানায় বিরোধীরা।
বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তাপস পালের দেহের সামনে দাঁড়িয়ে মমতার রাজনৈতিক মন্তব্যকে ‘ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই’ বলে নিন্দা করেন। সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, ‘গ্রেফতারির পর তাপস পালের আর খোঁজ নেয়নি তৃণমূল। এমনকী ভুবনেশ্বরে যে হাসপাতালে সুদীপ বন্দ্যোাপাধ্যায় ভর্তি ছিলেন তখন পাশের ঘরে ভর্তি ছিলেন তাপস। সুদীপের সঙ্গে দেখা করলেও তাপসের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি।’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘লোকসভা ভোটে তাপসকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। তার পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিল না দলের কারও। সেকথা আক্ষেপ করে তাপস পাল অনেককে বলেওছেন।’
লাগাতার সমালোচনার জবাবে বুধবার সন্ধ্যায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাপস পালের জন্য কী করেছেন তা তাঁর পরিবার জানে। আমরা জানি। যাঁরা তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’