দুপক্ষের মধ্যে কার্যত আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক দেখতেই অভ্যস্ত বঙ্গবাসী। আর সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে সেই ছবিটা উলটে গেল বেমালুম। নাম না করে বিরোধী দলনেতাকে একেবারে ভাই বলে সম্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। শুভেন্দু অধিকারীকে যাতে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া না হয় তা নিয়েও বলেন মমতা। তিনি জানিয়ে দেন, যাঁকে ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম।… না এখানেই মধুর সমাপ্তি এমনটা নয়। আরও আছে।
মুখ্য়মন্ত্রীর আমন্ত্রণে বিধানসভায় তাঁর ঘরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ও অগ্নিমিত্রা পালরা। আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
মমতা বলেন, আপনি একসময় কংগ্রেসে, তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। আপনার বাবা সিনিয়র নেতা। তাঁকে সম্মান করি। সংবিধান রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আমাদের সরকার মানুষের সরকার। মানুষকে নিয়ে চলছি। আমাদের সরকার মানুষের জন্য। আসুন আমরা রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করি।
মুখ্যমন্ত্রী ফিল্ম ফেসটিভ্যালেও আমন্ত্রণ জানান বিরোধীদের। তিনি বলেন, আপনারা বিরোধী দলের সবাই আসুন। কয়েকটা পুরসভা বাকি আছে। রোজ রোজ ভোট হলে উন্নয়নের কাজ থমকে যায়। কলেজে ভোট হয়নি কোভিডের কারণে। বামেরা শিক্ষা দফতরকে শেষ করে দিয়েছিল ব্রাত্য বসুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর সঙ্গে রাজনীতির উর্ধে উঠে সরকারি প্রকল্পের রূপায়ণ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষকে দেখা হয়। কে বিজেপি, কে অন্য দল করেন এসব দেখা হয় না। একটা দুটো ঘটনা খারাপ। আমাদেরও খারাপ লাগে। কেন বাংলার উন্নয়নের কথা বলবেন না? ভাঙন নিয়ে কেন বলবেন না। স্পিকারকে বলব সব দল থেকে বিধায়ক নিয়ে দিল্লিতে পাঠান। মন্ত্রীর সঙ্গে ওঁরা দেখা করুক। এমনকী সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুক। অন্যদিকে শুভেন্দুও বলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ।
তবে এদিনের ছবি দেখে বঙ্গবাসীর একটাই প্রশ্ন, হলটা কী?