গত বছর ১৪ অগস্ট। ম্যান্টনের বিধায়ক কার্যালয়ের কাছে সভা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২৩শে জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর ১৪ অগস্ট বেহালার সভায় গিয়েছিলেন মমতা। এবারও আসছে ১৪ অগস্ট। আবার বেহালায় আসবেন নেত্রী। এখনও পার্থ জেলে। গতবারেও পার্থর নাম মুখে আনেননি নেত্রী। এবার কি পার্থর কথা তুলবেন মমতা?
এই প্রশ্নটাই ঘুরছে বেহালায়। এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পার্থ। তবে বাইরে সংবাদ মাধ্য়মের সামনে তিনি অবশ্য় নেত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। তবে সেই ঘটনার পরে কার্যত যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। তবে এবার ফের বেহালায় আসবেন মমতা। সেক্ষেত্রে পার্থর সম্পর্কে তিনি আদৌ কোনও মন্তব্য করবেন কি না সেটাই এখন দেখার।
তবে অনেকের মতে, পার্থকে ঘিরে দলের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। গ্রেফতার হওয়ার পরে দল থেকে পার্থকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এরপর পার্থ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চান তৃণমূলের অনেকেই। দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে যখন সুর নরম তৃণমূলের নেতৃত্বের কিন্তু পার্থকে কার্যত দূরে সরাতেই ব্যস্ত ঘাসফুল শিবির।
১৪ অগস্ট ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রস্তুতিও চলছে। এখানকার বিধায়ক তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী গত বছর থেকেই জেলের অন্দরে। কার্যত অভিভাবকহীন বেহালা। অনেকেই এনিয়ে নানা মন্তব্য করেন। বাম নেতৃত্বও এনিয়ে নানা কটাক্ষ করেন মাঝেমধ্য়েই । এমনকী এলাকায় নিজেদের সংগঠনকে জোরদার করতেও তৎপর বিরোধীরা।
তবে সেই সুযোগে জল ঢালতে বেহালা পশ্চিমের উপর নজর দিচ্ছেন মমতাও। কিন্তু বেহালা যে তৃণমূলের পক্ষে মসৃন গড় নয় সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে তৃণমূল। কারণ পার্থ কাঁটা। তবে সেই কঠিন বেহালাতে ঘাসফুলের চাষ যাতে ঠিকঠাক হয় সেটাই নিশ্চিত করতে যাবতীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন মমতা। কিন্তু পার্থ বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার যেন সব কিছু ওলটপালট করে দিয়েছে।