বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর দেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে ধুন্ধুমার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার পুলিশি বাধা পেরিয়ে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। ধস্তাধস্তি বাধে হাসপাতালের গেটের সামনে। পরে যদিও কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ বিজেপি নেতাদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় টিটাগড়ে পার্টি অফিসের সমনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর। সোমবার NRS হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। প্রয়াত নেতার দেহ নিতে হাসপাতালে হাজির হন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সব্যসাচী দত্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং। সঙ্গে ছিলেন হাজার হাজার দলীয় কর্মী।
অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। হাসপাতালের গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। এর পর মণীশ শুক্লর পরিজনদের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়, NRS হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা চলছে। তাই এই হাসপাতালে সবাইকে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়।
বিজেপির অভিযোগ, মণীশ শুক্লর দেহ লোপাট করার চেষ্টা করছে সরকার। বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে দেহ পাচার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’
বিজেপি নেতা তথা বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, পুলিশের বন্দুক দিয়ে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই খুন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতাতন্ত্র চলছে। বিজেপি কর্মীরা মমতাতন্ত্রকে ভয় পায় না।