সৌদি আরবে বসে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যাওয়া আসনে অবিলম্বে ভোট করাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে মক্কায় বসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর মনোনয়ন পরীক্ষায় পাশও হয়ে যায়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। আদালত মনোনয়ন বাতিল করে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন বিচারপতি সিনহা। যার জেরে আজও বোর্ড গঠন হয়নি ওই পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন BDO. পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে ওই কেন্দ্রে এখনও ভোটগ্রহণ হয়নি শুনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বলেন, এতদিনে ভোট করাননি কেন? অবিলম্বে ভোটগ্রহণ করে ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতি বলেন, বিডিও কেন পঞ্চায়েত চালাবেন? এটা তাঁর কাজ না কি? বিডিওর আরও অনেক কাজ আছে।
বলে রাখি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের পর অভিযোগ ওঠে মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি সংসদে তৃণমূলের টিকিটে মইনুদ্দিন গাজি নামে এক ব্যক্তি যখন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তখন তিনি সৌদি আরবের মক্কায়। ৪ জুন হজ করতে দেশ ছাড়েন মইনুদ্দিন। ১২ জুন তাঁর নামে জমা পড়ে মনোনয়ন। ১৬ জুলাই দেশে ফেরেন তিনি। হজ কমিটি মইনুদ্দিনের হজে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর পরই বিডিওর সঙ্গে যোগসাজসে বিদেশ থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয় মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে। তাঁর মনোয়ন খারিজ করে আদালত।