ফেরিঘাটের দখল নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের কাশেমনগর। শুক্রবার সকালে কাশেমনগরে মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়ে। হয় ইটবৃষ্টি। এমনকী গুলি চলে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পৌঁছয় সুতি থানার বিশাল বাহিনী। তারা গিয়ে দেখে এলাকায় যত্রতত্র পড়ে রয়েছে বোমার সুতলি।
কাশেমনগরে ফিডার ক্যানালের ওপর বালিয়াঘাটি ফেরিঘাটের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলছিল কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় এই নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। শুক্রবার সকালে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ভাইকে মারধর করে কংগ্রেসি দুষ্কৃতীরা। এর পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। লাগাতার বোমা পড়তে থাকে। দুপক্ষই পরস্পরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। সঙ্গে চলে ইটবৃষ্টি। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে বলে অভিযোগ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে তাণ্ডব। তার পর এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। ক্রমশ পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ঘটনায় আহত সইদুল শেখ নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘আমি ছাগলের জন্য কাঁঠাল পাতা আনতে গিয়েছিলাম। পথে আমাকে ঘিরে ধরে বাঁশ রড দিয়ে পেটায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা এসে আমাকে রক্ষা করেন। তাঁরাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। নইলে মেরেই ফেলত।’
সংঘর্ষের পর এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। বিজেপির প্রশ্ন, রাজ্যে ঠিক কত বোমা মজুত আছে যে গ্রাম্য বিবাদের জেরে সংঘর্ষেও মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়ছে?