কলকাতায় করোনা আক্রান্ত তরুণের মায়ের দেহে মেলেনি সংক্রমণ। বুধবার সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট আসতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন নবান্নের কর্তারা। তরুণের মা নবান্নের স্বরাষ্ট্র দফতরের পদস্থ আমলা। তাঁর ছেলের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে বুধবার দিনভর শোরগোল চলেছে নবান্নে। কারণ রবিবার ছেলে দেশে ফেরার পর সোমবার নবান্নে এসেছিলেন ওই আধিকারিক। তিনি আক্রান্ত হয়ে থাকলে তাঁর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা ছিল অন্যান্যদেরও।
নিজের দফতরের আমলার ছেলের করোনা সংক্রমণের খবরে বুধবার স্বেচ্ছায় নিজেকে গৃহবন্দি রেখেছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে গৃহবন্দি ছিলেন তাঁর স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তীও। যিনি ব্যক্তিগত পরিচয়ে আলাপনবাবুর স্ত্রী।
বুধবার রাতে জানা যায়, কলকাতার করোনাভাইরাস আক্রান্ত তরুণের মা – বাবা ও গাড়ির চালকদের রিপোর্ট নেগেটিভ। তবে তাতে তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়নি। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, তাঁদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে।
ওদিকে আমলার ছেলের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবরে দিনভর দক্ষযজ্ঞ চলে নবান্নে। জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর ঘর-সহ একাধিক তল। জানা গিয়েছে, সোমবার ওই আমলা স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। একটি সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, সোমবার মায়ের সঙ্গে নবান্নে গিয়েছিলেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত যুবক নিজেও।
আপাতত স্বস্তি মিললেও এখনো নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই নবান্নের কর্তাদের কাছে। কারণ প্রাথমিক ভাবে দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব না মিললেও ১৪ দিনের মধ্যে তা দেশে পসার জমাতে পারে। ফলে অপেক্ষা করা ছাড়া আপাতত গতি নেই তাঁদের।