প্রায় ১ সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর পচন ধরা দেহ। তাঁকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। নেতাজিনগর থানা এলাকায় অভিযোগের তির প্রতিবেশীদের দিকে।
গত ১৩ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিপ্লব পাল (৬৮) নামে ওই বৃদ্ধ। ১৪ জুলাই নেতাজিনগর থানা এলাকায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, ১৩ জুলাই বিকেল থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বিপ্লববাবুর। নেতাজিনগরের শ্রীকলোনির বাড়িতে ওপর তলায় একটি ঘরে থাকতেন তিনি। সেখানে গিয়ে দেখা যায় পাখা চলছে, চলছে এসি। তদন্তে নেমে ১০ দিনেও বিপ্লববাবুর খোঁজ পায়নি পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরে বাড়ির পাশ থেকে পঁচা গন্ধ বেরোতে থাকে। রবিবার সকালে গন্ধ তীব্র হওয়ায় স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন সেখানে পড়ে রয়েছে বৃদ্ধের দেহ।
ওদিকে বিপ্লবাবুর খোঁজ না পেয়ে শনিবার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে বিপ্লববাবুর পরিবার। তাঁদের দাবি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল। তার জেরেই বিপ্লববাবুকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। যদিও তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজে বিপ্লববাবুকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি।
অভিযুক্ত প্রতিবেশীর দাবি, বিপ্লববাবুদের সঙ্গে তাঁদের সম্পত্তি বিবাদ মিটে গিয়েছে। আদালতের নির্দেশে সম্পত্তির দখল পেয়েছেন তাঁরাই। তার পরও কেন বিপ্লববাবুকে খুন করতে যাবেন তাঁরা। প্রতিবেশীর দাবি, কোনও কারণে ঝুঁকে নীচে দেখতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বিপ্লববাবুর। যেখানে দেহটি ছিল সেখানে সচরাচর কেউ যায় না। তাই দেহটি এতদিন কেউ দেখতে পায়নি।