রাজ্যে ভেজাল ওষুধের বাড়বাড়ন্ত রুখতে তৎপর রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগেই এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে প্রতিটি জেলার সদরে নতুন ড্রাগ অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ভেজাল ওষুধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে নতুন ড্রাগ ল্যাবরেটরি তৈরির কথা বলেছিলেন। নতুন ড্রাগ ল্যাবরেটরিও তৈরি করা হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
বর্তমানে রাজ্যের ড্রাগ ডাইরেক্টরের অধীনে পাঁচটি আঞ্চলিক এবং ১৮টি জেলা অফিস রয়েছে। অন্যদিকে, সেন্ট্রাল ড্রাগ ডাইরেক্টরের অফিসে সেন্ট্রাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি রয়েছে। তার পরিকাঠামো আরও উন্নত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে নতুন যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এর অধীনে থাকা ড্রাগ অফিসগুলির উন্নয়ন করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আঞ্চলিক অফিস গড়ে তোলা হবে চার হাজার বর্গফুট জমির উপরে। অন্যদিকে, প্রত্যেকটি জেলার সদরে ড্রাগ অফিস তৈরি করা হবে এর জন্য ২ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপরে। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের জন্য ১০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতিটি জেলার সদরে একটি করে ড্রাগ অফিস থাকলে সহজেই জেলায় ওষুধ ব্যবসায়ীদের নথিপত্র যাচাই করা যাবে। ফলে ভেজাল ওষুধের ওপর নজরদারি বাড়বে। সেইসঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কত পরিমাণ ওষুধ জমা রয়েছে তাও জানা সম্ভব। এর জন্য জেলার আধিকারিকদের পরিকাঠামো চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলে, ওষুধ পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি তৈরি হবে। এর জন্য বাজেটের অর্থ বরাদ্দ রয়েছে।