খনিজ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে যাতে আরও রাজস্ব আদায় করা যায় সেই রাস্তায় এগোচ্ছে সরকার। এনিয়ে একাধিক পলিসি হাতে নিচ্ছে সরকার। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতের মোট খনিজ সম্পদের এক চতুর্থাংশ রয়েছে এই রাজ্যের আওতায়। আবার দেশের এক তৃতীয়াংশ খনিজ সম্পদ উৎপাদন এই রাজ্যেই হয়। শুক্রবার রাজ্য শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের সচিব অনুরাগ শ্রীবাস্তব এনিয়ে মতামত জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সেক্টরে এখনও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ওড়িশার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই খনিজ সম্পদের সেক্টরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চাইছে রাজ্য সরকার। Assocham আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সচিব জানিয়েছেন, বালি তোলার যে সরকারি পলিসি তাতে সরকারের রাজস্ব অনেকটা বেড়েছে। ৫০ কোটি টাকা থেকে সেটা একেবারে ১০০ কোটি টাকা হয়ে গিয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, দেওচা পাঁচামিতে কয়লা উত্তোলনের কাজ দ্রুত শুরু হবে। এর জেরে এই সেক্টরে বড়সর উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে দেওচা পাঁচামিতে কয়লা তোলা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। এনিয়ে বিরোধীরাও নানা সময়ে নানা কথা বলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত এটা বলাই যায় যে এই দেওচা পাঁচামিকে আগামীদিনে এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা ব্লক বলে গণ্য করা হবে। তবে সরকার এই এলাকার অন্তত ৪ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন দিয়ে এখানে কয়লা ব্লক তৈরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই কয়লা উত্তোলনের পাশাপাশি সচিব জানিয়েছেন, শেল গ্যাস ডেভেলপমেন্ট অ্য়ান্ড প্রোডাকশনের ক্ষেত্রে ৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি কর্পোরেশন,এসার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন এনিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে বলে খবর।
এদিকে সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্য়ে খনিজ সম্পদের অন্যতম বড় ভাণ্ডার। এখান থেকে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা হয়। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয় তেমনি রাজস্ব আদায়ও করে সরকার। তবে এবার এনিয়ে নতুন আশায় বুক বাঁধছে সরকার।