পরিকাঠামো এবং পঠনপাঠনের হালহকিকত দেখতে হঠাৎ মেডিক্যাল কলেজে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি) প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার সকালে ওই প্রতিনিধি দল হাজির হন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তাঁরা মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। খোঁজ নেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি নিয়েও। দিল্লি ফিরে গিয়ে এই রিপোর্ট তাঁরা এনএমসিতে জমা দেবেন।
বৃহস্পতিবার সকালে এনএমসি ১৮ জনের প্রতিনিধি দল হাজির হন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। তাঁরা বিভিন্ন বিভাগে যান। কী ধরনের পরিকাঠামোর মধ্যে বিভাগগুলি কাজ করছে তা খতিয়ে দেখেন। এ ছাড়া তার পঠন-পাঠন বিষয়েও খোঁজ নেন। স্নাতকোত্তরে পড়াশুনার ক্ষেত্রে কোনও ঘাটতি রয়েছে কি না তা তাঁরা কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেন। সূত্রের,খবর তাঁরা ছুটিতে থাকা শিক্ষকদের বিষয়েও খোঁজ খবর নেন। পরীক্ষার সময় একাধিক শিক্ষক ছুটিতে থাকায় তাঁরা অবাক হন। এই অবস্থায় ঠিকমতো ক্লাস চলছে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। পরে সন্ধ্যা নাগাদ অধ্যক্ষের ঘরে বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। তবে প্রতিনিধি দলের কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এর আগে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে, ডেন্টাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন। তার পরই কাউন্সিল আগামী শিক্ষাবর্ষে ৫০ শতাংশ আসনের কমানোর সুপাশির করে। রিপোর্টে বলা হয়, পরিকাঠামোর ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে ডেন্টাল কলেজ। এবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের প্রতিনিধিরা দিল্লি ফিরে কী রিপোর্ট দেন সেদিকেই তাকিয়ে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন ৩৩ সদস্যের একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যারা চিকিৎসা শিক্ষা এবং চিকিৎসা পেশাদারদের নিয়ন্ত্রণ করে। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার বদলে,২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের স্থাপণ করা হয়।