কলকাতা পুলিশের তরফে পুরসভাকে ৪৪ টি থানাখন্দে ভর্তি রাস্তা মেরামতের জন্য তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তারপরে জোরকদমে রাস্তা মেরামতি শুরু করে কলকাতা পুরসভা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুজোর আগেই এই সমস্ত রাস্তাগুলি মেরামত করা হবে। শুক্রবার শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা পরিদর্শন করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ৯০ শতাংশ রাস্তা মেরামত করার কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। আর এই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, শুধুমাত্র কয়েকটি রাস্তা দেখেই বলছেন ৯০ শতাংশ রাস্তা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তর ও মধ্য কলকাতার দুটি রাস্তা মেরামতের জন্য বিপুল টাকা মঞ্জুর পুরসভার
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত শহরের রাস্তা কতটা মেরামত হয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে বেরোন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরসভার আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপ রঞ্জন বক্সি, সড়ক বিভাগের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সহ পুরসভার অন্যান্য আধিকারিক। এদিন মেয়র পুরসভা থেকে বেরিয়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে শ্যামবাজার, উল্টোডাঙ্গা , শিয়ালদা বিদ্যাপতি সেতু, মল্লিকবাজার, গোলপার্ক, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, টালিগঞ্জ ফাঁড়ি জেমস লং সরণি, জোকা এবং একবালপুরের রাস্তাগুলি পরিদর্শন করেন। এদিন একবালপুরে ডায়মন্ড হারবার রোডে রাস্তা তৈরির প্লাস্টিকের গ্রেনিউলস উপাদান খতিয়ে দেখেন মেয়র। তবে উত্তর এবং কলকাতার এখনও অনেক এমন রাস্তা রয়েছে যেগুলিতে গর্ত রয়েছে। আর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, কলকাতার যে রাস্তাগুলিতে বড়বড় পুজো রয়েছে সেখানেই যেনতেন প্রকারে রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু, মেয়র যেগুলি ভালো রাস্তা সেগুলিতে গিয়েছেন। কিন্তু যেগুলি খারাপ রয়েছে সেগুলিতে যাননি।
বিরোধীদের পালটা জবাব দিয়ে মেয়র জানান, তিনি সেই সমস্ত রাস্তায় না গেলেও রিপোর্ট নিয়েছেন। রিপোর্ট দেখেই তিনি জানিয়েছেন ৯০ শতাংশ রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এদিন তিনি আরও জানান, মেকানিক্যাল ম্যাস্টিক দিয়ে বড় রাস্তার কাজ হবে। এখনও পর্যন্ত সেই সমস্ত মেশিনপত্র পুরসভার হাতে আসেনি । এলেই কাজ শুরু হবে। প্রসঙ্গত, পুজোয় যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্যই ওই সমস্ত রাস্তার তালিকা পুরসভাকে দিয়েছিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।