মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে শুরু হয়েছিল মাথা ব্যথা এবং বমি। বৃদ্ধা যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বুঝে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমান। তা সত্ত্বেও বাঁচানো গেল না যাত্রীকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় বৃদ্ধা যাত্রীর। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল শনিবার আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে কলকাতাগামী বিমানে। ওই যাত্রীর নাম শর্মিষ্ঠা দাস (৬০)।
জানা গিয়েছে, কলকাতা আসার উদ্দেশ্যে শর্মিষ্ঠা দেবী আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার এয়ারপোর্ট থেকে ভিস্তারার ইউকে ৭৭৮ বিমানে উঠেছিলেন। বিমানটি উড়ান শুরু করার সময় অসুস্থতা অনুভব করছিলেন ওই যাত্রী। তবে সেই সময় নিজেকে তিনি সামলে নিয়েছিলেন। এরপর কলকাতা বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের সময় ঘটে বিপত্তি। তখন শর্মিষ্ঠা দেবী আরও অসুস্থতা বোধ করেন। এরফলে সিটে বসেই লাগাতার বমি করতে শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে বিমান চালক তড়িঘড়ি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন জরুরি ভিত্তিতে বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন চালক। দুপুর ২টো ৩৯ মিনিট নাগাদ অবতরণ করে বিমানটি।
এদিকে, যাত্রীর অসুস্থতার খবর পেতেই বিমানবন্দরে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসকদের একটি দল। বিমান অবতরণ করার পর তড়িঘড়ি বৃদ্ধাকে নামিয়ে বিমানবন্দরে থাকা চিকিৎসকরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। কিন্তু, যাত্রীর অবস্থা বুঝে জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি রোডের ধারে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে সেখানে নিয়ে গিয়েও ওই যাত্রীকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরে বৃদ্ধার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। এদিকে, বৃদ্ধার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে। যাত্রী আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন কিনা বা কি কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে তা স্পষ্ট বোঝা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল কলকাতা বিমানবন্দরে। যদিও সেক্ষেত্রে যাত্রীকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল। আমেদাবাদ থেকে কলকাতাগামী ৬ই৬৫৫৬ বিমানে এই ঘটনা ঘটেছিল। অসুস্থ হয়ে ওই বৃদ্ধা যাত্রী নিজের সিটেই মলত্যাগ করার পাশাপাশি বমি করে ফেলেন। এরপর বিষয়টি লক্ষ্য করেন বিমান সেবিকা। তড়িঘড়ি তিনি যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। যাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বুঝে তখন বিমান চালক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বৃদ্ধার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আগে থেকেই বিমানবন্দরের প্রস্তুত ছিলেন চিকিৎসকরা। বিমান অবতরণের পরেই তারা বৃদ্ধা যাত্রীর চিকিৎসা শুরু করে দেন। তবে ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে করে যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।