দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর অধ্যাপকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল স্টেশনের কাছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উল্টোডাঙ্গা এলাকায়। অধ্যাপকের নাম অভিজিৎ শর্মা। তিনি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। সোমবার সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়ে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে খুন বলেই মনে করছে পুলিশ। এখন একজন অধ্যাপক কেনই বা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন? এর সঙ্গে কারা জড়িত? তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫১ বছর বয়সের অধ্যাপকের বাড়ি দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পর প্রতিদিন তিনি নিয়ম করে সান্ধ্য ভ্রমণে যেতেন। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি অন্যান্য দিনের মতোই হাঁটতে বেরিয়ে ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, সাধারণত সন্ধে সাতটা নাগাদ হাঁটতে বেরোনোর পর রাত ন’টার মধ্যে তিনি ঘরে ফিরে আসেন। তবে ওইদিন ন'টার মধ্যে ঘরে না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন অধ্যাপকের পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে তারা বেশকিছু জায়গায় অধ্যাপককে খোঁজাখুঁজি করেন। তাঁর বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় বাড়ি প্রভৃতি জায়গায় খোঁজ খবর নেন তার পরিবারের সদস্যরা।
তারপরেও অভিজিৎ বাবুর কোনও খোঁজ না মেলায় শেষে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার। এরপর পুলিশ অধ্যাপকের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। তবে সোমবার রাত অবধি অভিজিৎ বাবুর কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। শেষে গতকাল সকাল ১১ টা নাগাদ উল্টোডাঙ্গা স্টেশনের কাছে অধ্যাপকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ফোন করে অধ্যাপকের পরিবারকে একটি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়। বলা হয়, মৃতদেহটির সঙ্গে অধ্যাপকের মিল রয়েছে। এরপরে দেরি না করে অধ্যাপকের পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ বাবুর ছেলে দিল্লিতে পড়াশোনা করে। স্ত্রী বাড়িতেই থাকে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা কিছুতেই বলতে পারছে না তার পরিবারের সদস্যরা। যেভাবে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে খুনের তত্ত্বই উঠে আসছে। এখন কে বা কারা অধ্যাপকে খুন করেছে, কেনই বা খুন করেছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।