দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে রেল কোয়ার্টার্স। সেই পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার্স থেকে এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম অংশুমানকুমার সিংহ (১৭)। গতকাল বুধবার ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেক্ষেত্রে এটি আত্মহত্যার ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ায় হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার কলকাতার যুবকের মৃতদেহ
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র বেহালার রেল কলোনি এলাকার বাসিন্দা। শহরের একটি নামি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়া ছিলেন অংশুমান। এ বছর তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে সোমবার রাতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন অংশুমান। কিন্তু, তারপরে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। এদিকে, রাত হয়ে যাওয়ার পরেও অংশুমান বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। এমনকী তাঁর ফোনটিও বন্ধ হয়ে পড়েছিল। তাতে পরিবারের দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়।
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের বাড়ির পাশেই রয়েছে ঘোলশাপুর রেল কলোনি। দীর্ঘদিন ধরে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শেষে সেখানে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর রেল কলোনীর ৩৫ নম্বর বিল্ডিংয়ের ৪ তলায় অংশুমানের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় বেহালা থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাতে অংশুমান তাঁর বন্ধুদের বলেছিলেন বাড়ি থেকে ফোন আসলে কেউ যেন না ধরে। তাঁর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও জানতে পারে, মোবাইলে অনলাইন গেমে আসক্ত ছিলেন তিনি। বন্ধুদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা দেনা হয়েছিল অংশুমানের। শুধু তাই নয়, একজনের কাছ থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা মতো ঋণ নিয়েছিলেন অংশুমান। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে টাকা দেনার বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।