বেহালার পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের জোড়া খুনে স্বামী তপন মণ্ডলকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন গোয়েন্দারা। বুধবার তাঁকে লালবাজারে ডেকে পাঠান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, স্ত্রী সুস্মিতার সঙ্গে তপনের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। তবে সোমবার খুনের সময় কর্মস্থলেই ছিলেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন সহকর্মীরা।
তদন্তে নেমে পুলিশ একটি ব্যাপারে নিশ্চিত, খুন যেই করে থাকুক সে সুস্মিতাদেবীর পরিচিত। নইলে তিন তলার ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেন না তিনি। খুনের সময় তপনবাবুর ফোন বন্ধ থাকায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহের তির গিয়েছিল তাঁর দিকেই। কিন্তু তপনবাবুর সহকর্মীরা জানিয়েছেন ওই দিন খুন যখন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে তখন তিনি ছিলেন ব্যাঙ্কেই।
মঙ্গলবার তপনবাবুকে দিনভর জেরার পর ছেড়ে দেয় পর্ণশ্রী থানা। বুধবার তাঁকে ফের তলব করা হয় লালবাজারে। সেখানে তাঁকে তাঁদের দাম্পত্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্ন করা হয় আর্থিক লেনদেন নিয়ে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, তপনবাবুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না। এমনকী আবাসনের অন্য বাসিন্দাদেরও সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখছেন না গোয়েন্দারা।
সোমবার দুপুরে কলকাতার দক্ষিণ শহরতলি বেহালার পর্ণশ্রী থেকে উদ্ধার হয় সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিতের দেহ। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে স্ত্রী ও পুত্রের দেহ দেখতে পান গৃহকর্তা তপন মণ্ডল।