প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে বুধবার পর্ষদ প্রকাশিত প্যানেলে স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বরং যে সমস্ত আবেদনকারীদের ডিএলএড যোগ্যতা থাকা সত্বেও তা প্রকাশ করেননি তাদের নিয়ে আলাদা প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার এই নির্দেশের পর প্রাথমিকে ৯,৫৩৩টি পদে নিয়োগে ফাঁড়া আপাতত কাটল।
মামলাকারী সুমন কোলেসহ অন্যান্যদের আবেদন ছিল, ২০২২ সালের প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় তাদের ডিএলএড ও BeD দুরকম যোগ্যতাই ছিল। কিন্তু ডিএলএড যোগ্যতার বদলে বিএড ডিগ্রির ভিত্তিতে আবেদন করেন তাঁরা। এর পর বিএড ডিগ্রিকে প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য অবৈধ ঘোষণা করে আদালত। বুধবার প্যানেল প্রকাশিত হলে দেখা যায় তাতে নাম নেই তাঁদের। এর ফলে যোগ্যতা থাকলেও তাঁরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। প্যানেলে স্থগিতাদেশ জারি করে তাদের বিষয়টি মীমাংসা করার দাবি জানান তাঁরা।
সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, এই মামলায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত প্যানেলে স্থগিতাদেশ দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। শূন্যপদ যেহেতু রয়েছে তাই এই ১২ জন আবেদনকারীকে নিয়ে নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।
২০২২ সালে প্রাথমিকের ১১,৭৫৮টি শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে ডিএলএড ও বিএড দুটি যোগ্যতাকেই বৈধতা দেওয়া হয়। এর পর পর্ষদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের দ্বারস্থ হন ডিএলএড যোগ্যতাধারীরা। তাদের দাবি, বিএড ডিগ্রিধারীদের সুযোগ দেওয়া হলে তাদের প্রতি বঞ্চনা করা হবে। তাদের যুক্তি গ্রহণ করে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে বিএডি ডিগ্রিকে অবৈধ ঘোষণা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায় খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট গত সোমবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই স্বীকৃতি দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় বুধবার প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।