পাললে এখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অন্দরে তার চক্রান্ত চলছে। মঙ্গলবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
এদিন রাহুল সিনহা বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর তর সইছে না। পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে এখনই নিজে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে পড়েন। সেই অবস্থার সূচনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যারা এসব কথা বলতে শুরু করেছে তারা সবাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। অর্থাৎ একদিকে দিল্লির লোভ দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গদি ছাড়াও। ওদিকে দিল্লিও হবে না এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদও যাবে। এটা তৃণমূলের অন্দরে একটা গভীর চক্রান্ত চলছে’।
অভিষেকের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে তৃণমূলের অন্দর থেকে পর পর ২ টুইট নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেলে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ২০৩৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক। মঙ্গলবার সকালে এক পা এগিয়ে ২০২৪-এই অভিষেক মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বলে দাবি করেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। পরে যদিও সেই টুইট মুছে দেন অপরূপা।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, রাজ্য কার্যত বিরোধীশূন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাত বারের সাংসদ, একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। তার পর আবার ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী। ফলে দিল্লিতে মোদীর বিকল্প হিসাবে সব থেকে গ্রহণযোগ্য মুখ তিনি। ২০২৪ সালে দিল্লিতে মোদী সরকারের পতন হলেই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন মমতা। আর তখন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন অভিষেক।