নাবালিকাকে ধর্ষণ ও পাচারের চেষ্টার অভিযোগে মারাত্মক অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, টাকার বিনিময়ে ঘটনা মিটমাট করে নিতে বলছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এমনকী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারায় মামলা পর্যন্ত রুজু করেনি পুলিশ। মিলছে না নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টও। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত বরাহনগর থানার।
গত ১৪ অগাস্ট ২ যুবক কিশোরীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নামে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। তার পর তাকে পাচারের চেষ্টা করে ২ জন। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি নাবালিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার পর নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা হয়।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গুরুতর এই ঘটনায় পুলিশের হাবভাব গা ছাড়া। এই ঘটনায় এখনো পকসো আইনের কোনও ধারাই দেয়নি পুলিশ। এমনকী নাবালিকার পরিবারকে বিষয়টি টাকার বিনিময়ে মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফেই।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের সহযোগিতা পাচ্ছেন না তাঁরা। পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে না নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট। পুলিশের এই আচরণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নির্যাতিতার পরিবার।
অভিযোগ অস্বীকার করে বারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই সব কিছু হচ্ছে। নাবালিকার বয়ান ইতিমধ্যে রেকর্ড করেছেন তদন্তকারী আধিকারিক। মামলাটি আদালতে উঠলে তাতে পকসো আইনের ধারা যোগ করা হবে।