হাওড়া ব্রিজে প্রতিদিনই হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। তার ওপর বর্তমানে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তৎকালীন ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া এই সেতুতে যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়েছে। এই অবস্থায় হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতু কী অবস্থায় রয়েছে তা জানা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তার জন্য রবীন্দ্র সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। বেসরকারি সংস্থা রাইটস এই পরীক্ষা করবে।
আরও পড়ুনঃ শুরু হতে চলেছে হাওড়া ব্রিজের সংস্কার, ২৭ দিন ধরে চলবে কাজ
মূলত লোহার কাঠামো এবং স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে হাওড়া ব্রিজ। ফলে সেগুলি কেমন অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যেই এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলে কলকাতা বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে লোহার কাঠামোর প্রতিটি কোণা এবং অন্যান্য অংশ পরীক্ষা করে দেখা হবে সেগুলি ঠিকঠাক অবস্থায় রয়েছে কিনা। উল্লেখ্য, এর আগে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল ২০০৪ সালে। তবে সে সময় হাওড়া ব্রিজে অবশ্য বিশেষ কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে এতো বছরের ব্যবধানে হাওড়া ব্রিজে যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়েছে। সেই কারণে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য কেমন অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ১৯২৬ সালে আর এন মুখোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে একটি কমিশন হুগলি নদীর উপর একটি বিশেষ ধরনের ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের সুপারিশ করেছিল। সেইমতো ১৯৩৭ সালে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়। ১৯৪৩ সালে কাজ শেষ হয়। এরপর ১৯৪৩ সালের ৩ ফ্রেব্রুয়ারিতে ব্রিজটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। হাওড়া সেতু রবীন্দ্র সেতু নামেও পরিচিত। এর দৈর্ঘ্য ৪০৫ মিটার এবং প্রস্থ ২১.৬ মিটার। কলকাতার প্রতীক হিসাবে পরিচিত এই ব্রিজ।
কলকাতা ও হাওড়া জেলার মধ্যে যান চলাচলের ক্ষেত্রে হাওড়া ব্রিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১,৫০,০০০ জন পথচারী যাতায়াত করেন। আর প্রায় ১ গাড়ি চলাচল করে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে ৮টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাড়ি যাতায়াত করে হাওড়া ব্রিজে। সেক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে ৫৫০ টি গাড়ি যাতায়াত করে। তবে বর্তমানে গাড়ির চাপ এই ব্রিজে অনেকটাই বেড়েছে।