বুধবার সকালে কিড স্ট্রিটে এমএলএ হোস্টালের সামনে ধুন্ধুমার কাণ্ড। হোস্টেল গেট আটকে বিক্ষোভে দেখালেন এমএলএ হস্টেলেরই গেট আটকে বিক্ষোভ দেখলেন ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের সরাতে গিয়ে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে। চাকরীপ্রার্থীদের অভিযোগ তাঁরা প্রায় ৯০০ দিনে ধরে আন্দোলন করছেন। অথচ তাঁদের নিয়ে বিধানসভায় একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। কোনও আলোচনা হয়নি। তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরি প্রার্থীরা।
বুধবার সকাল থেকে এমএলএ হোস্টোলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরি প্রার্থীরা। বেলা ১১ টা নাদাদ পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
এক চাকরি প্রার্থী বলেন, 'আমাদের এখানে থাকার কথা ছিল না। আমাদের স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৯০০ দিন ধরে আমরা রাস্তায়। আমাদের দাবির কথা কেউ বলছে না।'
পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধ্বস্তির সময় ঘটনাস্থালে আসেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশকে বলেন, মহিলা পুলিশ ছাড়া মহিলাদের তোলা যাবে না।
(পড়তে পারেন। বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন শংকর ঘোষ! শুভেন্দু–সুকান্ত–দিলীপকে নিয়ে নয়া ফর্মূলা)
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। তিনি পুলিশকে বলেন,'এই ভাবে টানা হেঁচড়া করবেন না। ওদেরও গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। এঁরা আমাদের বাড়ির মেয়ে। এরা পশ্চিবঙ্গের মেয়ে। ওঁদের অনুরোধ করে তুলুন। ' তিনি আরও বলেন,'এই নিয়ে আজ বিধানসভায় তুলকালাম হবে। বিজেপি বিধায়করা তো চাকরি বেচেনি। আমরা কেন অবরুদ্ধ হব? এই সরকারকে জবাব দিতে হবে । মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। '
বিক্ষোভকারীদের আটক করে একটি বাসে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর জের পরে বিধানসভার অভিবেশনেও। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এমএলএ হোস্টেলের সামনে বিক্ষোভে বিধায়ক ও মন্ত্রীরা আটকে পড়েছেন। বলা অধিকার সবার আছে। কিন্তু এই ভাবে আটকে দিয়ে আন্দোলন করা ঠিক ময়। আমি প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।'