কয়েকদিন ধরেই নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে বঙ্গ–বিজেপিতে রদবদলের কাজ। এই নিয়ে এখন জোর প্রস্তুতি চলছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বঙ্গ–বিজেপির প্রথমসারির নেতাদের। দফায় দফায় তাঁরা গিয়ে দেখা করে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ। এই দেখা–কথা বলার পর এখনও পর্যন্ত একটাই পরিবর্তন সামনে এসেছে। সেটা হল—দিলীপ ঘোষকে তাঁর সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুটি পরিবর্তন এখনও সামনে আসেনি।
এদিকে অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডা নতুন ফর্মূলা তৈরি করেছেন বলে সূত্রের খবর। বঙ্গ–বিজেপির এই নেতাদের নিয়েই সেই ফর্মূলা তৈরি হয়েছে। আর তার জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি বিষয়টিতে সম্মতিও দিয়েছেন। তারপরই বাংলা থেকে দু’জনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার কথা ভাবা হয়েছে। যদিও সব জেনে চুপ করে আছেন তাঁরা। তবে রাজ্য বিজেপির অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে এখানে দু’জন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। সুতরাং ব্যাপক রদবদল ঘটতে চলেছে কিছুদিনের মধ্যেই।
ঠিক কী ফর্মূলা ছকা হয়েছে? অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ জেলায় বিজেপির শক্তঘাঁটি। যদিও এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তেমন বড় কোনও সাফল্য দেখা যায়নি। তবু বিরোধী দলনেতা পদটি শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষকে দিতে সহমত হয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর তাই শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করতে চান জেপি নড্ডা। সেটা আবার চান না স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী। কারণ যদি কোনও কারণে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে হারে বিজেপি তাহলে বঙ্গ–বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকার কোনও মূল্য থাকবে না। তার চেয়ে বিরোধী দলনেতা পদ অনেক ভাল। কারণ এটি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য পদ।
আরও পড়ুন: ‘এবার আমাকে ছেড়ে দেওয়া হোক’, চিকিৎসকদের কেন এমন বললেন বুদ্ধবাবু?
তাহলে দিলীপ–সুকান্তর কী হবে? বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে খসড়া তৈরি করেছেন তাতে সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে দেওয়া হবে। তাঁরা দু’জনেই সাংসদ। আবার সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গ থেকে সাংসদ হয়েছেন। দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ছক কষা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে যে দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সরিয়ে এটা করা হচ্ছে তাঁরা ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের জেলা থেকে মন্ত্রী হওয়া জন বারলাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। পরিবর্তে আসবেন সুকান্ত–দিলীপ। যদিও আরএসএস চায় দিলীপ ঘোষকে আবার রাজ্য সভাপতি করা হোক, শুভেন্দুকে নয়।