সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বুধবার একাদশ – দ্বাদশে নম্বর কারচুপি করে চাওয়া পাওয়া তথাকথিত শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকায় রয়েছে ৯০৭ জনের নাম। ধর্মতলায় আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, সেই তালিকায় এমন অনেকের নাম রয়েছে যাদের নাম মেধাতালিকা বা ওয়েটিং লিস্ট কোথাও ছিল না। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কারচুপি করে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন এরা। যার ফল ভুগতে রয়েছে তাঁদের।
বৃহস্পতিবার ৮৬৫ দিনে পড়েছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। তালিকা নিয়ে এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বলেন, এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের অনেকের নাম মেধাতালিকা বা ওয়েটিং লিস্টেও ছিল না। এরা চাকরি পেল কী ভাবে? সাদা খাতা জমা দিয়ে এরা চাকরি পেয়েছে। OMR শিট প্রকাশিত হলে দেখা যাবে এরা খাতায় তিনটে গোল করে ৫০ পেয়েছে। কারও ইন্টারভিউর নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে। অথচ আমরা নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েও রাস্তায় বসে আছি। সরকার অযোগ্যদের চাকরি দিয়ে আমাদের পিছনে ঠেলে দিয়েছে।
SSC-র একাদশ – দ্বাদশের যে ৯০৭ জনের OMR শিট ও সার্ভারের নম্বরে গরমিল পাওয়া গিয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে বলে মঙ্গলবার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অমিতাভ বসু ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পর বুধবার বিকেলে নাম ও রোল নম্বরসহ সেই তালিকা প্রকাশ করে SSC. আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, এর মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যাঁরা পরীক্ষাই দেননি। তথচ বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন তাঁরা।